ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশবঞ্চিতদের ২ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ কিন্তু সুপারিশবঞ্চিত প্রার্থীরা মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন। আজ সোমবার বেলা ১১টায় এনটিআরসিএ ভবনের সামনে দুই দফা দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করেন চাকরিপ্রার্থীরা।
‘ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে চূড়ান্ত উত্তীর্ণ সনদধারী সুপারিশবঞ্চিত প্রার্থীগণ’ ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। আন্দোলনকারীদের দুই দফা দাবি হলো ১৮তম ভাইভা উত্তীর্ণ সনদধারী সুপারিশবঞ্চিত সব প্রার্থীকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ‘বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি’র মাধ্যমে নিয়োগের আওতায় নিয়ে আসা এবং নীতিমালা পরিবর্তনের আগে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণদের বিষয়ভিত্তিক সনদের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়া।
সমাবেশে বক্তারা পদ খালি থাকা সত্ত্বেও লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা উত্তীর্ণদের সুপারিশ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বক্তাদের একজন মো. ইমরান বলেন, ‘মেধা ও যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েও চূড়ান্ত নিয়োগ না পাওয়ায় আমরা এখন প্রচণ্ড হতাশা, মানসিক চাপসহ পারিবারিক ও সামাজিক নিগ্রহের শিকার। যেহেতু নতুন পদ্ধতিতে ১৯তম পরীক্ষা ও নিয়োগ প্রদান করা হবে, সুতরাং ১৮তম সব নিয়োগবঞ্চিত প্রার্থীর সুপারিশ নিশ্চিত করার পর ১৯তম সার্কুলার প্রদান করার জন্য সবিনয়ে অনুরোধসহ জোর দাবি জানাচ্ছি।’
এ সময় এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল বৈঠক করে। বৈঠক শেষে প্রতিনিধিদলের সদস্য খোরশেদ আলম বলেন, ‘তাঁরা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে ২৫ সেপ্টেম্বরের পর ফলাফল জানাবেন। তাঁরা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে ইতিবাচক ফলই আসবে।’
এ বিষয়ে এনটিআরসিএর সদস্য ও অতিরিক্ত সচিব ইরাদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘সনদের মেয়াদ তিন বছর থাকে, ফলে চাকরির বয়স থাকা পর্যন্ত শূন্য পদ সাপেক্ষে পরবর্তী গণবিজ্ঞপ্তিগুলোতে তাঁরা সুপারিশপ্রাপ্ত হবেন। এনটিআরসিএর চেয়ারম্যানের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বৈঠক হয়েছে, তাদের এটা বলা হয়েছে।’