উৎসবে আয়োজনে প্রস্তুতি

উৎসবে আয়োজনে প্রস্তুতি

বারো মাসে তেরো পার্বণের দেশ বাংলাদেশ। বিশেষ করে বছরের শেষ মাসগুলোজুড়ে থাকে নানা আয়োজন। আর বিশেষ দিন মানেই বিশেষ প্রস্তুতি। যেহেতু আমরা বাঙালি, তাই সাজের মাঝে বাঙালিয়ানার শাড়ি আমাদের চাই-ই চাই। হোক তা সুতি কিংবা জামদানি, শাড়ির পরতে পরতে নারীর যে ভালোবাসা লুকিয়ে আছে তা শুধু উৎসবের দিনগুলোতেই ফুটে ওঠে তার সৌন্দর্যের মাঝে। নিজেকে সাজাতে যাতে কোনো কিছুর কমতি না পড়ে তাই একটু আগে থেকেই চলে প্রস্তুতি। আর এ পুরো বছরের প্রস্তুতি নিয়ে দেশীয় হাউজগুলোর থাকে নানা ব্যস্ততা। কেমন হবে রং কিংবা কেমন হবে ডিজাইন। পোশাকের কোন কারুকাজ এ সময়ের তরুণ-তরুণীরা পছন্দ করবেন তা নিয়েই চলে বছরব্যাপী প্রস্তুতি পর্ব।

কিছুদিন পরই শুরু হবে দুর্গাপূজার আয়োজন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব। ফ্যাশন হাউজগুলোতে তাই চলছে একরাশ ব্যস্ততা। দেশীয় হাউজগুলোর চিন্তাভাবনা ও তাদের কাজের প্রস্তুতি এবং এমন আরও অনেক বিষয় নিয়েই যুগান্তরের সঙ্গে কথা বলেছেন- বিশ্বরঙ-এর স্বত্বাধিকারী, ফ্যাশন ডিজাইনার বিপ্লব সাহা।

নতুন ট্রেন্ডে ফ্যাশনপ্রেমীদের উদ্বুদ্ধ করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি অনেক দিন থেকেই। পরিবারের সবার চাওয়া পাওয়াকেই আমরা মাথায় রেখে কাজ করি। যেহেতু উৎসব-আয়োজনে ছোট-বড় সবার ফ্যাশনের বিষয়েই খেয়াল রাখতে হয়, তাই সেভাবেই আমরা কাজ করে থাকি। বর্তমানে সবার সঙ্গে ম্যাচিং করে পোশাক পরার একটি ট্রেন্ড প্রায়ই চোখে পড়ে। তাদের কথা মাথায় রেখেই বাবার সঙ্গে মিলিয়ে ছেলের পোশাক আর মায়ের সঙ্গে মিলিয়ে মেয়ের পোশাকের বিষয়টি নিয়ে কাজ করা হয়েছে। এ ছাড়া সামনের উৎসবকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু পোশাক যেমন-শাড়ি, পাঞ্জাবি, ধুতি, সালোয়ার কামিজসহ আরও অনেক ডিজাইন ও ফ্যাশনের ওপর কাজ করা হয়েছে। অন্যদিকে কাপড়ের বেলায় সুতি, লিলেন, জয়সিল্ক, ডুপিয়ান, ভয়েল, হাফ সিল্ক নিয়ে গরমকে কেন্দ্র করে আমরা কাজ করছি। যেহেতু উৎসবকে কেন্দ্র করে আয়োজন তাই উজ্জ্বল রংকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কাজের মাধ্যম হিসাবে টাই-ডাই, ব্লক-বাটিক, কারচুপি, অ্যাপলিক, কাটওয়ার্ক, স্ক্রিনপ্রিন্ট, ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রিন্ট ইত্যাদি। মন মাতানো এসব বাহারি ডিজাইনের কালেকশনই থাকছে ‘বিশ্বরঙ’-এর সব শোরুম এবং অনলাইনে।