প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে ব্রণের দাগ দূর করবেন যেভাবে
সমপরিমাণ মুলতানি মাটি ও টক দইয়ের সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগিয়ে নিন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। মুলতানি মাটি ত্বকের প্রদাহ কমিয়ে দাগ হালকা করতে সাহায্য করে।
শসার রস, চালের গুঁড়া ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি তুলায় মিশিয়ে দাগের ওপর লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
অনেক সময় ব্রণের কালচে দাগ সহজে দূর হতে চায় না। এ ধরনের দাগ থেকে মুক্তি পেতে অল্প পরিমাণ শঙ্খগুঁড়া ও গ্লিসারিন একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি তুলায় মিশিয়ে দাগের ওপর ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে আস্তে আস্তে ঘষে প্রলেপটি উঠিয়ে ফেলুন।
এক দিন পরপর কাঁচা হলুদ, চন্দনের গুঁড়া ও দুধের সর একসঙ্গে পেস্ট করে মুখে লাগান। প্যাকটি শুকানোর পর ভেজা কাপড় দিয়ে আস্তে আস্তে মুছে ফেলুন।
সমপরিমাণ চন্দনের গুঁড়া ও লেবুর রসে সামান্য গ্লিসারিন মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ব্রণের দাগের ওপর লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে কাপড় বা তুলা ভিজিয়ে উঠিয়ে ফেলুন। লেবুতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড ত্বকের ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে। প্যাকটি ব্যবহারে ব্রণের গভীর দাগ হালকা হতে শুরু করবে।
ডিমের সাদা অংশ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য উপকারী। দুই চা-চামচ ডিমের সাদা অংশ, আধা চা-চামচ মধু ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে তুলার সাহায্যে মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
অ্যাপল সিডার ভিনেগার, মধু ও চিনি সমপরিমাণ মিশিয়ে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল ও দাগ হালকা হয়। অল্প পরিমাণ মধুর সঙ্গে দারুচিনিগুঁড়া মিশিয়ে ব্রণের দাগের ওপর লাগিয়ে শুকাতে হবে। এটি ব্রণের দাগ কমাতে সহায়তা করবে।
প্রাকৃতিক উপাদান নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণের দাগ ধীরে ধীরে কমে আসবে। তবে প্রত্যেকের ত্বক ভিন্ন। তাই সব উপাদান সবার ত্বকের সঙ্গে মানানসই না-ও হতে পারে। এই সমস্যা এড়াতে যেকোনো উপাদান ব্যবহারের আগে ত্বকের অল্প জায়গায় ব্যবহার করে পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত। ব্রণের দাগ খুব গভীর হলে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।