ছয় ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা, একজন ৫ বছর নিষিদ্ধ শেয়ারবাজারে
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজির দায়ে ছয় ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানকে প্রায় সাড়ে ৪৪ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ২০২১ সালে নিউলাইন ক্লথিংস ও পাইওনিয়ার ইনস্যুরেন্সের শেয়ার নিয়ে কারসাজির দায়ে এই জরিমানা করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সভায় জরিমানার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে বিএসইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিএসইসি জানিয়েছে, নিউলাইন ক্লথিংসের শেয়ার নিয়ে কারসাজির দায়ে রিয়াজ মাহমুদ সরকার, আবুল বাশার, মো. সেলিম, মো. জামিল ও সরকার প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিশিংকে ১৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে রিয়াজ মাহমুদ সরকারকে ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা, আবুল বাশারকে ৪ কোটি ২ লাখ টাকা, মো. সেলিমকে ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, মো. জামিলকে ২ কোটি ২০ লাখ টাকা এবং সরকার প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিশিংকে ৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ২০২১ সালের ২৪ মে থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার নিয়ে উল্লিখিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কারসাজির ঘটনা ঘটায়। বিএসইসির তদন্তে তা উঠে আসে। তবে শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশন সেই তদন্তের ভিত্তিতে কারসাজিকারকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে প্রতিবেদন ধামাচাপা দিয়ে রাখে। গত বছরের আগস্টে সরকার বদলের পর নবগঠিত বিএসইসির কমিশন পুরোনো সেসব কারসাজির ঘটনায় একে একে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
এদিকে ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়কালে পাইওনিয়ার ইনস্যুরেন্স কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজির দায়ে দুই ব্যক্তিকে ৩১ কোটি ৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বিএসইসির গতকালের সভায়। এর মধ্যে শেখ ফারুক আহমেদ নামের এক কারসাজিকারককে সর্বোচ্চ ৩০ কোটি ৩২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একই ঘটনায় এনআরবি ব্যাংকের তৎকালীন প্রধান অর্থ কর্মকর্তা বা সিএফও মোহাম্মদ কামরুল হাসানকে ৭৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কামরুল হাসানকে ৫ বছরের জন্য পুঁজিবাজার–সংশ্লিষ্ট সব ধরনের কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করেছে বিএসইসি।