শহরবানু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি : সংগৃহীত

প্রাথমিক স্কুল ঘেরাও করে উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে শহরবানু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হারেছা আক্তার আঁখিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে খান্দার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফারিয়া আক্তার পিংকির বিরুদ্ধে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছে শহরবানু বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) উপজেলার গৌরীপুর-বেখৈরহাটি আঞ্চলিক সড়কের দাড়িয়াপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও গৌরীপুর থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।

জানা গেছে, হারিছা আক্তার আঁখি মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে ইজিবাইকে চড়ে বিদ্যালয়ে আসছিলেন। পরে ওই ইজিবাইকে উঠেন খান্দার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ফারিয়া ইফাত পিংকী। এ সময় আঁখির সিটে বসতে সমস্যা হওয়ায় তিনি পিংকিকে একটু সরে বসতে বলায় ক্ষুব্ধ হয়ে থাপ্পড় মারেন। এ সময় ইজিবাইকে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পথিক হাসান প্রান্ত এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে থাকেও থাপ্পড় মারেন।

হারিছা আক্তার আঁখি বলেন, পারিবারিকভাবে আমার সঙ্গে পিংকির ভাইয়ের বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হলে সেটা আমার পরিবার ফিরিয়ে দেয়। পরে আমার অন্যত্র বিয়ে হয়। ইজিবাইকে উঠে আমার পাশে পিংকি এমনভাবে বসছিলেন যে আমি বসতে পারছি না। এ সময় হাত দিয়ে তাকে সরতে বলায় তিনি আমার হাতে মেহেদি আর আংটি দেখে থাপ্পড় মারেন। পিংকীকে এসবের কারণ জিজ্ঞাসা করলে আবারও তাকে থাপ্পড় মারেন।

শহরবানু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মঞ্জুরুল হক বলেন, শিক্ষকের হাতে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনায় শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে বিচারের দাবিতে মাঠে নেমে যায় এবং ওই স্কুলে গিয়ে তার বিচারের দাবি জানায়।

অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক ফারিয়া ইফাত পিংকী জানান, এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।

খান্দার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাহমিনা আক্তার বলেন, এ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অপরাধ করলে, তার শাস্তি হবে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আঞ্জুমান আরা বেগম বলেন, আমরা উভয়পক্ষ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছি। লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর তদন্ত করে দোষী শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।