জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্রের সঙ্গে জনগণ নির্বাচনের ঘোষণাও চায় : প্রিন্স
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্রের সঙ্গে জনগণ নির্বাচনের ঘোষণাও চায়। রোজার আগে নির্বাচনের জন্য জনগণ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেলে হালুয়াঘাট উপজেলার নড়াইল ইউনিয়নের বাদশা বাজারে কাউয়ালীজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদ আবু কাউসার বিজয় ফরাজীর স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, নির্বাচিত সরকার ও সংসদের মাধ্যমেই জুলাই সনদ এবং ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন করে গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন হবে। জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বিএনপি ধারণ করে। কিন্তু একটি মহল বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে, অহেতুক বিভ্রান্তি ও জটিলতা সৃষ্টির করছে নির্বাচন বিলম্বিত করতে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি শহীদদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিএনপি জনগণের রায়ে রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে জনগণের কাছে প্রদত্ত সব অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে বদ্ধপরিকর।
বিএনপির এ নেতা বলেন, স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের একক দাবিদার সেজে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে ব্যবসা করতে চেয়েছিল। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান নতুন বাংলাদেশ উপহার দেবেন। যেখানে গণতন্ত্র, সুশাসন, জান-মালের নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান, শিক্ষা, ধর্ম, সাংস্কৃতিক, মানবিক ও সামাজিক মূল্যবোধ, শান্তি, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য বজায় থাকবে। জনগণের আর্থ সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হবে।
প্রিন্স বলেন, আগামী দিনে বিএনপি সরকার ফ্যাসিবাদ আওয়ামী রেজিমে গুম-খুনের শিকার সব শহীদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও তাদের পরিবারের পুনর্বাসনসহ শহীদদের স্মৃতি ধরে রাখতে সড়ক বা স্থাপনার নামকরণ করবে এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের স্বীকৃতি প্রদান করা হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি ফ্যাসিস্ট হাসিনাসহ গুম-খুন ও দুর্নীতি, লুটপাট, অধিকার হরণের সঙ্গে জড়িত সবার দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করবে। বিএনপি সব শহীদ পরিবারের পাশে থাকবে। তাদের আত্মত্যাগ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।
হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম মিয়া বাবুলের সভাপতিত্বে ও উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মশিউজ্জামানের সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় বক্তব্য দেন- শহীদের বাবা সাইদুল ইসলাম ফরাজী, হালুয়াঘাট পৌর বিএনপির আহ্বায়ক হানিফ মোহাম্মদ শাকের উল্লাহ, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু হাসনাত বদরুল কবীর, পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর আলম বিপ্লব ও বিএনপি নেতা অধ্যাপক মোফাজ্জল হোসেন।
ময়মনসিংহ উত্তর জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক হোসনে আরা নিলু, বিভাগীয় শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল গনি, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি নাঈমুর আরেফিন পাপন, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক নূরে আলম জনি, উপজেলা বিএনপি নেতা সৈয়দুজ্জমান, হারুন অর রশীদ, হাবিবুর রহমান, আব্দুর রশীদ, জুলাই আন্দোলনে পুলিশের গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত মেহেদী হাসান ও সদর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি মাসউদ রানা।