ছবি: সংগৃহীত

কেন্দুয়ায় সুপার কুইন তরমুজে কৃষকের হাসি

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় গ্রীষ্মকালীন সুপার কুইন তরমুজ চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। এই তরমুজ চাষে সফলতা পেয়েছেন উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের পাতারিয়া গ্রামের কৃষক সুমন মিয়া। মাচা পদ্ধতিতে সুস্বাদু তরমুজে ভরে গেছে খেত। বাম্পার ফলনে হাসি ফুটেছে তার মুখে।

সরেজমিন দেখা যায়, গতানুগতিক পদ্ধতি থেকে সরে এসে ভিন্ন পদ্ধতি মাচায় তরমুজ চাষ করেছেন কৃষক সুমন। মাচায় বাতাসে ঝুলছে ঝুড়ি ভরা তরমুজ। প্রথমবারেই ভালো ফলন এসেছে। এই তরমুজ বেশ সুস্বাদু বলে ইতোমধ্যে অনেকেই অগ্রিম ক্রয়াদেশ দিয়ে রেখেছেন। বাজারে এর অনেক চাহিদা, আর দামেও সস্তা। অনেকেই খেত থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন পরিবারের জন্য। তরমুজ চাষি সুমন মিয়া যুগান্তরকে বলেন, এ পর্যন্ত ৪০ শতক জমিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে ৯০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। সব ঠিকঠাক থাকলে দুই থেকে তিন লাখ টাকা আয় করা সম্ভব হবে। তবে প্রথম দিকে বেশির ভাগ মানুষ লোকসানের আশঙ্কা প্রকাশ করে নিরুৎসাহিত করেছিলেন। তাই বলে দমে যাননি সুমন। তিনি বলেন, ‘আমার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় শেষ পর্যন্ত তরমুজ চাষ করে সফলতা পেয়েছি।’

উপজেলা উপসহকারী কৃষি অফিসের পরামর্শে সুমন তরমুজ চাষে আগ্রহী হন। বীজও সংগ্রহ করেন কৃষি অফিস থেকে। রোপণ থেকে ফলন আসা পর্যন্ত সার্বক্ষণিক পাশে ছিলেন কৃষি কর্মকর্তা।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ইকবাল আকন্দ রনি বলেন, কৃষক সুমন তার প্রচেষ্টায় একজন সফল চাষি হিসাবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। এলাকায় তার সফলতা দেখে অনেক কৃষক গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিশাল সফলতা বলে মনে করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন দিলদার। যুগান্তরকে তিনি বলেন, গ্রামীণ যুবকদের আহ্বান জানাব, সুমনের মতো যেন এ ধরনের লাভজনক ফসল চাষাবাদে এগিয়ে আসেন। আগ্রহীদের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।