এবারও স্টারশিপের উৎক্ষেপণ সফল হয়নিছবি: রয়টার্স

আবারও স্পেসএক্সের স্টারশিপের পরীক্ষামূলক ফ্লাইটের বিলম্ব

গেল কয়েক বছর ধরে ইলন মাস্কের মার্কিন বেসামরিক মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্স স্টারশিপ নামের বিশাল এক রকেটের পরীক্ষামূলক ফ্লাইট উৎক্ষেপণের চেষ্টা করছে। এ নিয়ে দশমবারের মতো বিলম্বের মুখে পড়েছে স্টারশিপ। উৎক্ষেপণের কয়েক মিনিট আগে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে হঠাৎ উড্ডয়ন বন্ধ হয়ে যায়। এতে মহাকাশ নিয়ে আগ্রহীদের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে গেছে। দশমবারের মতো ব্যর্থতা আসলে বিশাল রকেট তৈরির চ্যালেঞ্জের পরিস্থিতিকে তুলে ধরছে। এবারের পরীক্ষার মূল লক্ষ্য ছিল বুস্টার অবতরণ, রকেটের তাপ ঢালের স্থায়িত্ব ও উপগ্রহ স্থাপন পরীক্ষা করা। বহুল প্রত্যাশা থাকলেও স্টারশিপের পরীক্ষামূলক ফ্লাইটটি উৎক্ষেপণের কয়েক মিনিট আগে স্থগিত করা হয়েছে।

স্টারশিপ প্রায় ৪০০ ফুট লম্বা বিশাল রকেট। ২৪ আগস্ট সন্ধ্যায় স্পেসএক্সের স্টারবেস সাইট থেকে উৎক্ষেপণের কথা ছিল। এর আগে এ বছরের শুরুতে বেশ কয়েকবার ধারাবাহিক ব্যর্থতা দেখা যায় স্টারশিপের উৎক্ষেপণে। স্পেসএক্স হঠাৎই বিলম্বের ঘোষণা দেয়। এবারের পরীক্ষায় মেক্সিকো উপসাগরে বুস্টার অবতরণ থেকে শুরু করে ভারত মহাসাগরের ওপর পুনঃপ্রবেশের সময় তাপ ঢালের স্থায়িত্বের পরীক্ষা পর্যন্ত। রকেটটি মহাকাশে মক স্টারলিংক হওয়ার কথা ছিল। এবার স্টারশিপ স্যাটেলাইট স্থাপনের জন্যও প্রস্তুত ছিল। পুনর্ব্যবহারযোগ্য বড় আকারের রকেট তৈরির পেছনে জটিলতা রয়েছে বলে ঝুঁকি নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না স্পেসএক্স।

রোববারের উৎক্ষেপণ স্থগিত হলেও দ্রুত এ সপ্তাহেই আবার উৎক্ষেপণ করা হতে পারে বলে স্পেসএক্স ইঙ্গিত দিয়েছে। দ্রুত প্রযুক্তিগত ত্রুটি নির্ণয় করে সমাধানের কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। দশমবারের মতো বিলম্ব সব মিলিয়ে নাসা ও স্পেসএক্সের ওপরে বড় চাপ তৈরি করছে। মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা তার আর্টেমিস প্রোগ্রামের জন্য স্টারশিপ ব্যবহার করতে আগ্রহী। এ রকেটে চড়েই ২০২৭ সালের মধ্যে চাঁদে নভোচারী অবতরণ করানোর পরিকল্পনা রয়েছে। ইলন মাস্কের জন্য এই রকেট তার দীর্ঘমেয়াদি মঙ্গল গ্রহে অবতরণের মূল চাবিকাঠি।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া