রক্তিম চাঁদফাইল ছবি: রয়টার্স

রক্তিম চাঁদ দেখা যাবে বাংলাদেশ থেকে, কবে...

রাতের আকাশ মানেই যেন চমক। সেই চমক আগামী রোববার একটু বেশিই থাকবে। রোববার রাতের আকাশে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। এ সময় চাঁদ রক্তিম লাল রং ধারণ করবে। বিজ্ঞানীরা একে ব্লাড মুন নামে ডাকেন। বিরল এই মহাজাগতিক ঘটনা বাংলাদেশ থেকেও দেখা যাবে।

চন্দ্রগ্রহণ ঘটে যখন পৃথিবী সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে চলে আসে। এর ফলে পৃথিবীর ছায়া চাঁদের ওপর পড়ে আর চাঁদকে ধীরে ধীরে অন্ধকার করে তোলে। এই সময় চাঁদ পৃথিবীর সবচেয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন ছায়ার মধ্য দিয়ে যায় বলে অনুজ্জ্বল হয়ে লাল রং ধারণ করে। এই রক্তিম আভার পেছনে কাজ করে রেইলি স্কেটারিং নামে একটি বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া। সূর্য থেকে আসা আলো যখন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ভেদ করে তখন বায়ুমণ্ডলের গ্যাস ও ধূলিকণা আলোর নীল তরঙ্গদৈর্ঘ্যকে চারপাশে ছড়িয়ে দেয়। আর দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের লাল আলো বাধা পায় না বরং তা বেঁকে গিয়ে চাঁদের ওপর পড়ে। এই কারণেই চাঁদ তখন লাল, কমলা বা বাদামি রঙে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। রক্তাক্ত মনে হয় চাঁদকে।

এবারের চন্দ্রগ্রহণ গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এশিয়া ও পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া থেকে এটি সম্পূর্ণভাবে দেখা যাবে। এ ছাড়া ইউরোপ, আফ্রিকা, পূর্ব অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের কিছু স্থান থেকে আংশিক দৃশ্য দেখা যাবে। ফলে বিশ্বের ৮৫ ভাগ মানুষই এবারের চন্দ্রগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।

রোববার চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ২৮ মিনিট থেকে। এ সময় চাঁদ ধীরে ধীরে পৃথিবীর ছায়ার মধ্যে প্রবেশ করতে শুরু করবে। ব্লাড মুন দেখা যাবে রাত ১১টা ৩০ মিনিট থেকে সোমবার ১২টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত। সোমবার রাত ২টা ৫৫ মিনিটের পর চাঁদ পৃথিবীর ছায়া থেকে সম্পূর্ণ বেরিয়ে আসবে।

আকাশ পরিষ্কার থাকলে বাংলাদেশের যেকোনো জায়গা থেকে চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। ব্লাড মুন দেখার জন্য কোনো বিশেষ সুরক্ষা চশমা বা সরঞ্জাম প্রয়োজন হবে না। ফলে খালি চোখেই নিরাপদে দেখা যাবে। আরও স্পষ্ট দৃশ্য দেখতে চাইলে বাইনোকুলার বা টেলিস্কোপ ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে চাঁদের গর্ত ও এর লাল আভার বিভিন্ন স্তর দেখা যাবে।

সূত্র: এনডিটিভি