চাঁদরয়টার্স

চাঁদে পারমাণবিক চুল্লি তৈরি করবে যুক্তরাষ্ট্র

২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে একটি পারমাণবিক চুল্লি তৈরি করবে যুক্তরাষ্ট্র। চুল্লিটির মাধ্যমে ভবিষ্যতে চাঁদে আবাসস্থল ও গবেষণা কার্যক্রমে বিদ্যুৎ সরবরাহের পাশাপাশি চীন ও রাশিয়ার চাঁদে যৌথ ঘাঁটি নির্মাণের প্রচেষ্টাকে পেছনে ফেলতে এই উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি। চুল্লিটিতে প্রাথমিকভাবে ১০০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হতে পারে।

চাঁদে টানা দুই সপ্তাহ রাত হওয়ার কারণে সেখানে কাজ করা বেশ কঠিন। ফলে পারমাণবিক চুল্লির মাধ্যমে উৎপাদিত বিদ্যুত চাঁদে আবাসস্থল, জীবনধারণ ও খনিজ সম্পদ আহরণের সরঞ্জামের জন্য অবিচ্ছিন্ন শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করবে। নাসা আগে ৪০ কিলোওয়াট উৎপাদন করতে সক্ষম চুল্লির নকশা করলেও, এখন তা ১০০ কিলোওয়াট মডেলে প্রসারিত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পারমাণবিক শক্তি চন্দ্র ধুলা বা রেগোলিথ থেকে অক্সিজেন ও পানির মতো সম্পদ আহরণকে সহায়তা করতে পারে। এসব উপাদান রকেট জ্বালানি উৎপাদন ও পৃথিবী থেকে দূরে মানবজীবন টিকিয়ে রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

চাঁদে নিজেদের উপস্থিতির জন্য চীন ও রাশিয়ার আন্তর্জাতিক চন্দ্র গবেষণাকেন্দ্র আইএলআরএস কাজ করছে। এই কেন্দ্র মহাকাশে মার্কিন নেতৃত্বের জন্য সরাসরি চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। চীন ও রাশিয়া উন্নত রোবোটিকস ও সম্পদ সংগ্রহের জন্য চাঁদে ঘাঁটি স্থাপনের কাজ করছে। চীন ও রাশিয়াকে ঠেকাতে চাঁদে নির্ভরযোগ্য শক্তি অর্জনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক, বৈজ্ঞানিক ও বাণিজ্যিক কার্যকলাপ পরিচালনা করতে চায়।

নতুন পরিকল্পনা অনুসারে নাসা চাঁদে একাধিক আবাসস্থল ও বিদ্যুৎ–ব্যবস্থা নির্মাণে কাজ শুরু করেছে। বেসরকারি মহাকাশ সংস্থার মাধ্যমে এই কাজ এগিয়ে নিতে চায় নাসা। এ জন্য চাঁদে চুল্লি তৈরির পাশাপাশি পুরোনো আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন প্রতিস্থাপনে কাজ শুরু করেছে সংস্থাটি। আগামী ছয় মাসের মধ্যে কমপক্ষে দুটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে পারমাণবিক চুল্লি তৈরির কাজে যুক্ত করতে চায় নাসা।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া