পূজার কেনাকাটা: বাজারে প্রস্তুতি আছে, ক্রেতা কম

পূজার কেনাকাটা: বাজারে প্রস্তুতি আছে, ক্রেতা কম

আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে নারীদের পোশাকের ভালো সংগ্রহ এনেছে রাজধানীর মৌচাক এলাকার ফরচুন শপিংমলের ড্রেস কর্নার। তবে এখনো কাঙ্ক্ষিত বিক্রি হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার মাসুদ রানা।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে এ ব্যবসায়ী বলেন, ‘নারীদের আনস্টিচ জর্জেট পোশাক এনেছি প্রায় ২ লাখ টাকার। শুক্রবার ক্রেতা না থাকায় এখনো সেগুলো থেকে একটিও বিক্রি করতে পারিনি।’

মাসুদের মতো রাজধানীর বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী এবারের পূজার বাজারে ভালো বিক্রি হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তবে অধিকাংশই ধারণা করছেন, কেনাকাটা এ মাসের শেষে কিছুটা বাড়তে পারে।

ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি বছরই দুর্গাপূজা ঘিরে বিপণিবিতানগুলোতে থাকে বাড়তি চাপ। এবারও তা বিবেচনায় নিয়ে ব্র্যান্ড ও নন-ব্র্যান্ডের নিত্যনতুন সব পোশাক আনা হচ্ছে। সেই তুলনায় কেনাকাটা এখনো সেভাবে জমেনি।

তবে কিছু ক্রেতা আসছেন। এমনই একজন আরতি রায় বলেন, ‘কয়েক বছর পর এবার পূজায় গ্রামের বাড়িতে যাব। যে কারণে একটু বাড়তি কেনাকাটার চাপ রয়েছে। এর মধ্যে বাচ্চার স্কুলও চলছে। তাই আগেভাগে এসেছি কেনাকাটা করতে।’

শনিবার মৌচাকের পাশাপাশি রাজধানীর মালিবাগ ও মগবাজার এলাকার বেশ কয়েকটি বিপণিবিতান ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সেখানে রয়েছে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, পাঞ্জাবি, শার্ট, প্যান্ট ও জুয়েলারির দোকান।

পূজার কেনাকাটা: বাজারে প্রস্তুতি আছে, ক্রেতা কম

পূজার কেনাকাটা: বাজারে প্রস্তুতি আছে, ক্রেতা কম

বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে যারা আসছেন তাদের বেশির ভাগই ঘুরে-ফিরে দেখছেন। মূল কেনাকাটা হবে পূজার আগে শেষ সপ্তাহে।

অঙ্গসাজ হাউজের স্বত্বাধিকারী শাকিল রিজভী বলেন, ‘ঈদ ও পহেলা বৈশাখ ছাড়া পূজাতেও ভালো বেচাকেনা হয় এখন। তবে গত বছর এ সময় দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে বেচাবিক্রি ভালো ছিল না। এবার পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও অর্থনৈতিক অবস্থার খুব বেশি উন্নতি হয়নি। যে কারণে শঙ্কিত আছি। তবে গতানুগতিকভাবে আমাদের প্রস্তুতি আগের মতোই আছে। ভালো বিক্রি না হলেও তা স্বাভাবিকভাবে কিছুটা বাড়বে।’

মৌচাক অঞ্জনসের ম্যানেজার মো. ইয়াসিন জানান, তারা এবার পূজায় আবহাওয়ার সঙ্গে মিল রেখে নতুন সব পোশাক এনেছেন। ক্রেতার চাহিদা ও সাধ্যের মধ্যে এসব পোশাক পাওয়া যাচ্ছে।

মৌচাক-মালিবাগ এলাকায় জুতা-স্যান্ডেল ও গয়নাও পাওয়া যাচ্ছে। সেই সঙ্গে আছে নতুন ধরনের ভ্যানিটি ব্যাগ। তবে পূজায় আগেভাবে বিক্রি বেড়েছে গয়নার। বেশির ভাগ নারীই হাত, কান, নাক ও গলার ইমিটেশন ও সোনার অলংকার কিনছেন। তবে সোনার দাম অতিরিক্ত বাড়ার কারণে কাঙ্ক্ষিত গয়নাটি কিনতে পারছেন না অধিকাংশ ক্রেতা।

আমিন জুয়েলার্সের গয়না বিক্রি করা আহসানুল জাগো নিউজকে জানান, পূজায় সোনার জিনিসপত্র বানানোর একটা ঝোঁক থাকে। এবারও রয়েছে। তবে সোনা-রুপার দাম বেশি বলে ক্রেতা কমেছে।

এদিকে ইমিটেশন গয়নার দাম কম, আবার দেখতেও সুন্দর। এ কারণে উৎসব-পার্বণে এগুলো বেশ জনপ্রিয়। নিলিমা নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘স্বর্ণের দাম বেশি। পরিবারের সবার জন্য স্বর্ণের গহনা কেনায় বাড়তি চাপ পড়বে। ইমিটেশন হলে সহজে কেনা যায়, আবার দেখতেও ভালো।’