আর্জেন্টিনার সর্বকালের সেরা পাঁচ ফুটবলার বেছে নিলেন দি মারিয়া

আর্জেন্টিনার সর্বকালের সেরা পাঁচ ফুটবলার বেছে নিলেন দি মারিয়া

আর্জেন্টিনার সর্বকালের সেরা ফুটবলার কে?

খুব কঠিন এই উত্তর বেশির ভাগের কাছে হয়তো লিওনেল মেসি ও ডিয়েগো ম্যারাডোনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। আনহেল দি মারিয়াকে সেই কষ্ট করতে হয়নি। আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম ‘লা নাসিওন’ তাঁকে আর্জেন্টিনার সর্বকালের সেরা পাঁচ ফুটবলার বাছতে বলেছিল। তাতে কাজটা সহজ হয়ে যায়। প্রথম তিন খেলোয়াড়ের নাম বলতে এতটুকু বাধেনি দি মারিয়ার। দ্বিধায় ভুগেছেন শেষ দুজনকে নিয়ে। কিন্তু বলতে তাঁর বাধেনি, আর এ দুটো নাম নিয়েই বিতর্ক হতে পারে সবচেয়ে বেশি। নিজেকে এই তালিকায় না রাখায় স্বয়ং দি মারিয়াকেই কাঠগড়ায় তুলতে পারেন কেউ কেউ।

আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ, কোপা আমেরিকা ও ফিনালিসিমা জেতা সাবেক এই উইঙ্গার ইউরোপিয়ান ফুটবলে সোনালি অধ্যায় শেষ করে ফিরেছেন জন্মভূমিতে। বেনফিকা থেকে গত মে মাসে যোগ দেন শৈশবের ক্লাব রোজারিও সেন্ট্রালে। ক্লাবটির অনুশীলন মাঠে লা নাসিওনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দি মারিয়াকে আর্জেন্টিনার সর্বকালের সেরা পাঁচ ফুটবলারকে বেছে নিতে বলা হয়। নিচে তা প্রশ্নোত্তর করে তুলে ধরা হলো:

‘‘‘—আর্জেন্টিনার ইতিহাসে আপনার পছন্দের সেরা পাঁচ খেলোয়াড়কে কি এখন আমরা বেছে নিতে পারি?
দি মারিয়া: ঠিক আছে।
—মেসি?
দি মারিয়া: হ্যাঁ, অবশ্যই।
—ম্যারাডোনা:
দি মারিয়া: তিনিও, অবশ্যই।
—কেম্পেসও তো তাহলে থাকবেন?
দি মারিয়া: হ্যাঁ, তিনিও।
—তাহলে বাকি দুজন কারা?
দি মারিয়া:...ঠিক জানি না। সম্ভবত (ড্যানিয়েল) প্যাসারেলা একজন। বর্তমান প্রজন্ম থেকে কাউকে বেছে নিতে পারি? আমার মনে হয়, জাতীয় দলের পুরো প্রজেক্টেই রদ্রি (রদ্রিগো দি পল) খুব গুরুত্বপূর্ণ। দলকে সে জীবনের সঞ্চার করে! সবাই তাকে মাঠের ভেতরে ‘ইঞ্জিন’ বললেও মাঠের বাইরেও সে তা–ই। দলের ভেতরে বন্ধুত্ব ও ইতিবাচক মানসিকতা বয়ে আনে। অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পরা ছাড়াই সে অধিনায়ক।’’’

দি মারিয়াকে বলা হয়েছিল, এই তালিকায় অনেকেই তাঁকে রাখবেন। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদ, পিএসজি ও বেনফিকা মাতানো তারকার কাছে র‌্যাঙ্কিংয়ের চেয়ে মানুষের ভালোবাসাই বেশি দামি। শুনুন তাঁর মুখেই, ‘যা যা জেতার প্রায় সবই জিততে পারাটা আমার পুরস্কার। আমি পূর্ণ এবং তাতে সুখী। লোকে চাইলে আমাকে শীর্ষ তিনে, পাঁচে, দশে কিংবা যেখানে খুশি রাখতে পারে। যত দিন তাঁরা আমাকে ভালোবাসেন, তত দিন পর্যন্ত র‌্যাঙ্কিং (অবস্থান) আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়।’

দি মারিয়ার বয়স এখন ৩৭ বছর। ফ্রি এজেন্ট হিসেবে যোগ দিয়েছেন আর্জেন্টাইন প্রিমেরা ডিভিশনের ক্লাবটিতে। গত বছর কোপা জয়ের পর আর্জেন্টিনা জাতীয় দল থেকে অবসর নেওয়া এই উইঙ্গারের সঙ্গে আপাতত ১২ মাসের চুক্তি করেছে রোজারিও। তবে পরে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগও আছে। কিন্তু তারপর? দি মারিয়াকে তো একসময় ফুটবল ছাড়তেই হবে। তারপর কী করবেন?

দি মারিয়া সেই পরিকল্পনাও করে রেখেছেন, ‘সব সময় এটা বিশ্বাস করেছি, ভবিষ্যতের ভাবনা আসা মানে আমার ক্যারিয়ার শেষের দিকে। তাই সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। কোচিংয়ের কোর্স (আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কোচিং স্কুলে) করছি। কিন্তু এই ভাবনাটা নেই যে খেলা ছাড়ার পর কোচিংয়ে নামব। হ্যাঁ ইচ্ছা তো আছেই, কিন্তু সেটা কবে, কয়েক বছরের মধ্যে নাকি বছর দশেক লাগবে, জানি না। তবে ওই নামটা (কোচ) পছন্দের এবং বাকিটা পরে দেখা যাবে।’