ওয়েইন রুনি। ছবি: রয়টার্স।

বর্ণবাদ রুখতে কঠিন শাস্তির নিয়ম ছাড়া উপায় দেখছেন না রুনি

ফুটবলের নতুন মৌসুম শুরু হতেই মাথাচাড়া দিয়েছে এর পুরোনো এক রোগ, বর্ণবাদ। মৌসুমের প্রথম সপ্তাহেই এমন দুটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। এর থেকে নিস্তার পেতে সংশ্লিষ্ট ক্লাবের পয়েন্ট কেটে নেওয়ার মতো কঠিন শাস্তির নিয়ম করা ছাড়া আর কোনো উপায় দেখছেন না ওয়েইন রুনি।

সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক ও তারকা স্ট্রাইকার বিবিসি পডকাস্টে বিষয়টি নিয়ে আলাপকালে দুঃখজনক একটি ঘটনাও তুলে ধরলেন, যা ফুটিয়ে তোলে বর্ণবাদের শিকার হওয়া ব্যক্তির ভীষণ কষ্টের দিক।

খেলোয়াড়ী জীবনের ইতি টেনে কোচিংয়ে নাম লেখান রুনি। ২০২২-২৩ মৌসুমে তিনি দায়িত্বে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ডিসি ইউনাইটেডের। ওই সময় তার এক খেলোয়াড় বর্ণবাদের শিকার হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন।

“এমন কিছুর সাক্ষী আমি হয়েছিলাম ডিসিতে, আমার এক খেলোয়াড় বর্ণবাদের শিকার হয়ে আমার বুকে মাথা রেখে কান্না করেছিল। সে আমার বুকে মাথা রেখে কান্না করছিল আর আমি তাকে আঁকড়ে ধরে ছিলাম।”

“আমার মনে হয় না, মানুষ এর গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারে-অনেকে বলে, কোনোকিছু না ভেবেই ওরা এগুলো বলে থাকে…কিন্তু এগুলো মানুষকে কষ্ট দেয়। বিষয়টা সবার জানতে ও বুঝতে হবে, আর এগুলো বন্ধ করতে আরও বেশি কিছু করতে হবে।”

গত সপ্তাহে উয়েফা সুপার কাপে পিএসজির বিপক্ষে টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে হারের ম্যাচে পেনাল্টি থেকে জালে বল পাঠাতে ব্যর্থ হন টটেনহ্যামের মাথিয়াস তেল, এরপর অনলাইনে তার উদ্দেশ্যে আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়। আর এবারের প্রিমিয়ার লিগের অভিষেক ম্যাচে অ্যানফিল্ডে দর্শকদের মধ্যে থেকে বোর্নমাউথের এন্টোয়ান সেমেনিওকে লক্ষ্য করে বর্ণবাদী মন্তব্য করা হয়, এজন্য খেলা কিছুক্ষণ বন্ধও থাকে। ম্যাচটি ৪-২ গোলে জেতে স্বাগতিক লিভারপুল।

ফুটবলে বর্ণবাদের মতো জঘণ্য সব ঘটনা বন্ধ করতে এর আগে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা সেভাবে কাজে আসেনি, দিনে দিনে বরং বেড়েই চলেছে। এজনই এবার আরও কঠিন পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড অধিনায়ক।

“সমাজে এ বিষয়ে জোরাল প্রচারণা চালাতে হবে-শিশু, বাবা-মা, সবার মাঝে। সবাইকে এ বিষয়ে সজাগ করার জন্য।”

“(দায়ী ব্যক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট) ক্লাবটিকে আঘাত করতে হবে, কারণ, এগুলো বন্ধ করার এটাই একমাত্র পথ। এড়িয়ে গেলে সমর্থকরা আবার এসব করবে। পয়েন্ট কেটে নিয়ে ওই ক্লাবকে আঘাত করতে হবে অথবা তাদেরকে আর্থিক জরিমানা করতে হবে। অন্যথায়, এসব চলতেই থাকবে।”