ভারতে ‘ঐতিহাসিক’ বিশ্বকাপে আছেন বাংলাদেশের জেসিও

ভারতে ‘ঐতিহাসিক’ বিশ্বকাপে আছেন বাংলাদেশের জেসিও

এবার আরেকটি ইতিহাস রচনা করতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের সাথিরা জাকির জেসি। আসন্ন নারী বিশ্বকাপের জন্য ম্যাচ অফিসিয়ালদের তালিকা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। সেখানে ম্যাচ রেফারি ও আম্পায়ারের দায়িত্ব পাওয়া সবাই নারী। কোনো ওয়ানডে বিশ্বকাপে এবারই প্রথম সব অফিসিয়ালই থাকছেন নারী। ঘোষিত ১৪ আম্পায়ারের মধ্যে রয়েছেন জেসিও।
৩৪ বছর বয়সী সাথিরার বাংলাদেশের হয়ে ইতিহাস গড়ার খবর ছড়ায় আগেই। আজ সেটিরই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে আইসিসি। এ বিষয়ে একটি বিবৃতিতে সংস্থাটির চেয়ারম্যান জয় শাহ বলেন, ‘নারী ক্রিকেটের যাত্রায় এটি একটি মাইলফলকের মুহূর্ত, যা খেলার প্রতিটি ক্ষেত্রে আরও বহু দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি । নারী ম্যাচ অফিসিয়ালসদের অন্তর্ভুক্তি কেবল একটি মাইলফলক নয়, বরং ক্রিকেটে লিঙ্গসমতার প্রতি আইসিসি’র অবিচল অঙ্গীকারের শক্তিশালী প্রতিফলনও।’ এর আগে সব নারী ম্যাচ অফিসিয়াল দিয়ে কমনওয়েলথ গেমস ও দু’টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পরিচালনা করা হলেও, ওয়ানডে বিশ্বকাপে এমনটি আগে কখনও দেখা যায়নি। এবার আসন্ন ভারত ও শ্রীলঙ্কায় হতে যাওয়া নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরে হবে সেই ধারার সূচনা। সাথিরা ছাড়াও আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন লরেন আগেনবাগ, ক্যানডেস লা বর্ডে, কিম কটন, সারাহ দামবানেভানা, কেরিন ক্লাসটে, জননী এন, নিমালি পেরেরা, ক্লেয়ার পোলসাক, বৃন্দা রাঠি, স্যু রেডফান, এলিস শেরিদান, গায়াত্রি ভেনুগোপালান ও জ্যাকুলিন উইলিয়ামস। আর চারজন ম্যাচ আম্পায়ার হলেন ট্রুডি অ্যান্ডারসন, শ্যানডার ফ্রিটজ, জিএস লক্ষী ও মিশেল পেরেরা। সাথিরা কিছুদিন আগে বাংলাদেশ ক্রিকেটেও একটি ইতিহাস গড়েন। দেশের প্রথম নারী আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ছেলেদের ক্রিকেটে। এশিয়া কাপের আগেই নেদারল্যান্ডস সিরিজে টিভি আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এর আগে গত বছর শ্রীলঙ্কায় হওয়া নারী এশিয়া কাপে আম্পায়ারিং করেন সাথিরা। একই বছরের ডিসেম্বরে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপেও আম্পায়ার হিসেবে কাজ করেন তিনি। এ টুর্নামেন্ট হয় টি-টোয়েন্টি সংস্করণে। মালয়েশিয়াতে চলতি বছর নারী অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও আম্পায়ারিং করেন তিনি। বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটের শুরুর দিকের মুখ সাবেক অলরাউন্ডার সাথিরা। তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার দীর্ঘ হয়নি, খেলেন দু’টি ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি। তবে বাংলাদেশের হয়ে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে খেলেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার সময়ই কোচ হিসেবে নতুন অধ্যায় শুরু করেন সাথিরা।