রবার্তো কার্লোস মারিও গোমেজ |সংগৃহীত

কথা রাখেননি ব্রাজিলিয়ান কোচ, নতুন কোচ এলো আর্জেন্টিনা থেকে

কথা রাখেননি ব্রাজিলিয়ান কোচ সার্জিও ফারিয়াস। কথাবার্তা পাকা হবার পরেও আসেননি বসুন্ধরার ডেরায়। ফলে এবার আর্জেন্টিনার শরণাপন্ন হয়েছে কিংসরা, দলে ভিড়িয়েছে অভিজ্ঞ এক ‘মাস্টারমাইন্ড।’

মৌসুম শুরু আগেই বড় এক ঘোষণা দিলো বসুন্ধরা কিংস। প্রধান কোচ হিসেবে তারা নিয়োগ দিয়েছে আর্জেন্টাইন রবার্তো কার্লোস মারিও গোমেজকে। ইউরোপ-এশিয়ার অনেক বিখ্যাত ক্লাবের ডাগআউটে দাঁড়িয়েছেন তিনি।

কিংসের ভাগআউটে অভিষেক হওয়ার কথা ছিল ব্রাজিলিয়ান কোচ ফারিয়াসের। মৌখিক কথা-বার্তা পাকা হলেও নতুন এই কোচের সাথে কাগজপত্রে চুক্তি হওয়াই বাকি ছিল।

প্রধান কোচ হিসেবে এই ব্রাজিলিয়ানের নাম এএফসিতে প্রেরণও করেছিল কিংস। এই ম্যাচের আগে সরাসরি দোহায় এসে দলের সাথে যোগ দেয়ার কথা ছিল হাই প্রোফাইল এই কোচের।

তবে চুক্তি হবার এক দিন আগে হঠাৎ কিংস কর্মকর্তাদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। কেন না বসুন্ধরাকে এড়িয়ে সেই কোচ চুক্তি করেছেন ইরাকের একটি ক্লাবের সাথে। এমন অবস্থায় মহাবিপাকেই পড়েছিল কিংস।

এমতাবস্থায় মারিও গোমেজকে খুঁজে বের করেছে তারা। গোমেজের খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ার খুব দীর্ঘ নয়। স্বদেশী ক্লাব টেম্পারলির হয়ে ক্যারিয়ার শুরু তার, পরে ফেরো কারিল ওয়েস্তের হয়ে ১৯৮২ ও ১৯৮৪ সালে জিতেছেন লিগ শিরোপা।

তবে কোচিং ক্যারিয়ার বেশ বর্ণাঢ্যময় গোমেজের। ইতালিয়ান ক্লাব ইন্টার মিলান ও স্প্যানিশ ক্লাব ভ্যালেন্সিয়ার সহকারী কোচ হলেও মায়োর্কার প্রধান কোচ ছিলেন গোমেজ।

কাজ করেছেন কিংবদন্তি ফুটবলার স্যামুয়েল ইতো, পাবলো আইমার, রোনালদো নাজারিও ও হার্নান ক্রেসপোদের মতো বিখ্যাত তারকাদের সাথে। মালয়েশিয়ার জাতীয় দলেরও কোচ ছিলেন তিনি।

৬৮ বছর বয়সী গোমেজ কোচিং ক্যারিয়ারে বড় সাফল্য পেয়েছেন জোহর দারুল তাজিমের ডাগআউটে। মালয়েশিয়ার ক্লাবটির হয়েছে ২০১৫ সালে এএফসি কাপসহ জিতেছেন সুপার কাপ, লিগ কাপসহ চ্যারিটি শিল্ডও।

গত বছর বরখাস্ত হওয়ার আগে সর্বশেষ ইন্দোনেশিয়ার ক্লাব বাহইয়াংকারা এফসি’র দায়িত্বে ছিলেন তিনি। আর এবার সবকিছু ঠিক থাকলে হাল ধরবেন বসুন্ধরা কিংসের।