লর্ডসে খেলার মাঝখানে ঢুকে পড়ল শিয়াল, থেমে গেল ‘দ্য হানড্রেড’!
ক্রিকেট মাঠে অনেক অদ্ভুত ঘটনা দেখা গেছে—সাপ, মৌমাছি, কুকুরের অনুপ্রবেশের কথা নতুন নয়। তবে লর্ডসের মতো ঐতিহাসিক ভেন্যুতে ‘দ্য হানড্রেড’-এর উদ্বোধনী ম্যাচে হঠাৎ করেই এক শিয়ালের আগমন দেখে হকচকিয়ে যান খেলোয়াড়রা, বিস্ময়ে ফেটে পড়ে গ্যালারি।
লন্ডন স্পিরিট ও ওভাল ইনভিন্সিবলসের মধ্যকার ম্যাচে একসময় বল-বলের উত্তেজনার চেয়েও আলোচনায় উঠে আসে মাঠে ঢুকে পড়া সেই বুনো শিয়াল। ম্যাচ যখন ইনভিন্সিবলসের নিয়ন্ত্রণে, ঠিক তখনই মাঠে প্রবেশ করে এই অবাঞ্ছিত অতিথি। তড়িঘড়ি করে পিচ পেরিয়ে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত দৌড়ে চলে যায় সে, তারপর নিজেই লাফিয়ে বেরিয়ে যায় বাউন্ডারির বাইরে। নিরাপত্তাকর্মীরা কিছু বোঝার আগেই শিয়ালটা গায়েব!
তবে খেলার মঞ্চে শিয়ালের আগমন ছাপিয়ে নজর কেড়েছেন আফগান তারকা রশিদ খান। আইপিএলের পর কিছুটা বিশ্রামে ছিলেন তিনি, এবার ফিরে এসেই দেখালেন পুরোনো ঝলক। ২০ বলের স্পেলে মাত্র ১১ রানে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে একাই ধসিয়ে দেন লন্ডন স্পিরিটের মিডল অর্ডার।
তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বল হাতে চমক দেখান স্যাম কারেনও—১৮ রানে ৩ উইকেট। ৮০ রানেই গুটিয়ে যায় স্পিরিট। ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান আসে অ্যাশটন টার্নারের ব্যাট থেকে—২১। অথচ ম্যাচটি ঘিরে ছিল ডেভিড ওয়ার্নার ও কেন উইলিয়ামসনের হাইভোল্টেজ মুখোমুখির প্রত্যাশা, কিন্তু দুজনই ব্যর্থ।
জয়ের লক্ষ্য ছিল মাত্র ৮১ রান। ইনভিন্সিবলসের দুই ওপেনার উইল জ্যাকস ও তাওয়ান্দা মুয়েয়ে ৩৪ রানের জুটি গড়ে রাখেন ম্যাচের ভিত্তি। যদিও মাঝপথে কিছু উইকেট পড়েছে, তবে জয়ের পথ কখনোই হাতছাড়া হয়নি। ১৪ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটের সহজ জয় তুলে নেয় তারা।
ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা রশিদ খান বলেন, ‘আইপিএলের মতো লম্বা টুর্নামেন্টের পর মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য কিছুটা বিরতি দরকার ছিল। অনেক বছর ধরে খেলা অভিজ্ঞতা কাজে দিয়েছে। আজকের উইকেটে স্পিন ছিল, তাই চেষ্টা করেছি জায়গায় বল রাখতে। ভালোভাবে কাজ করেছে।’
শিয়াল হানা যতটা না নাটকীয়তা, ততটাই আনন্দের খোরাকও—ক্রিকেটবিশ্বে এমন ঘটনা যে খুবই বিরল, তাও আবার ‘হোম অব ক্রিকেট’ লর্ডসে! তবে দিনের শেষে আলোচনার মঞ্চটা ভাগ করে নিয়েছে একদিকে রশিদ খানের স্পিন জাদু, আর অন্যদিকে সেই চঞ্চল ‘ফক্স ইন দ্য হানড্রেড’।