‘সবসময় জেতা যায় না’, একুয়েডরের মাঠে হারের পর স্কালোনি
পারফরম্যান্স ভালো হয়নি একদমই। আর্জেন্টিনার জন্য বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শেষটাও তাই সুখকর হয়নি। একুয়েডরের মাঠে হারের পর নিজেদের ব্যর্থতা মেনে নিলেন লিওনেল স্কালোনি। একই সঙ্গে দলের প্রচেষ্টার প্রশংসাও করলেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী কোচ।
কিটোয় বাংলাদেশ সময় বুধবার সকালে শেষ হওয়া ম্যাচে ১-০ গোলে হারে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচের ৩১তম মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হয় আর্জেন্টিনা। প্রতিপক্ষের এনের ভালেন্সিয়াকে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার নিকোলাস ওতামেন্দি।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে পেনাল্টি থেকে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন ভালেন্সিয়া। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে তারাও ১০ জনের দলে পরিণত হয়, তবে শেষ পর্যন্ত আগলে রাখে গোলটি।
পুরো ম্যাচে গোলের জন্য একটি শটও লক্ষ্যে রাখতে না পারা আর্জেন্টিনার এই বছরে প্রথম হার এটি। ২০২৬ বিশ্বকাপের দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইয়ে ১৮ ম্যাচে সব মিলিয়ে তাদের হার চারটি। ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকে বাছাই শেষ করল তারা।
একুয়েডর ম্যাচের পর কোচ স্কালোনি বলেন, ফুটবলে সবসময় জয় পাওয়া সম্ভব নয়। দলের লড়াইয়ের মানসিকতাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তিনি।
“সৌভাগ্যবশত, আমরা সবসময় জিততে অভ্যস্ত। তবে এমন কিছু সময় আসে, যখন তা সম্ভব হয় না। যখন প্রতিপক্ষ ভালো খেলে, তখন কিছু সময় ভুগতে হয়। আমরাও ভুগেছি, বিশেষ করে যখন ১০ জনে পরিণত হলাম। কঠিন ছিল, তারপরও আমরা ম্যাচে ছিলাম।”
“দ্বিতীয়ার্ধে (আরও) লাল কার্ড পাওয়ার ভয় ছিল, ফলে খেলা ছন্দ হারায়। আমরা সুযোগ তৈরি করতে পারিনি। তবে ইতিবাচক দিক হলো দল চেষ্টা করেছে, লড়েছে, নিজেদের মতো করে খেলেছে। দ্বিতীয়ার্ধটা আমাদের ছিল, যদিও আমরা আরও ভালো করতে পারতাম।”
লিওনেল মেসিকে বিশ্রাম দেওয়ায় এবং কার্ডের খাঁড়ায় ডিফেন্ডার ক্রিস্তিয়ান রোমেরোর অনুপস্থিতিতে শুরুর একাদশে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনেন স্কালোনি। তরুণ আরও কিছু খেলোয়াড়কে বাজিয়ে দেখার ভাবনা ছিল তার। কিন্তু ওতামেন্দির লাল কার্ডে বদলে যায় কোচের পরিকল্পনা।
“আমরা আরও কিছু খেলোয়াড়কে দেখার অপেক্ষায় ছিলাম। তবে সামনে আরও কিছু ম্যাচ আছে।”