ব্রাজিল ফুটবল দল । ছবি : সংগৃহীত

বলিভিয়ার উচ্চতায় নাকানিচুবানি খেল ব্রাজিল

২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বলিভিয়ার কাছে ১-০ গোলে হেরে গেছে ব্রাজিল। এল আল্টো মিউনিসিপ্যাল স্টেডিয়ামের উচ্চতার প্রভাব স্পষ্টই দেখা গেছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যদের খেলায়। ভিএআরের সহায়তায় দেওয়া বিতর্কিত পেনাল্টি থেকে মিগুয়েল তেরসেরোসের একমাত্র গোলেই জয় পায় স্বাগতিকরা।

আর এদিকে এল আল্টো মিউনিসিপ্যাল স্টেডিয়াম যেন ফুটবল উন্মাদের এক কড়াই। সেই উন্মাদনা, সাহস আর তীব্রতার জোরে তিন দশকের বিশ্বকাপ-অপেক্ষা ভাঙার পথে বড় পদক্ষেপ নিল বলিভিয়া। ১৯৯৪ সালের পর আর বিশ্বকাপ দেখা হয়নি ‘লা ভার্দে’-দের, কিন্তু ২০২৬-এর যুক্তরাষ্ট্রগামী টিকিটের পথে এবার তারা দেখাল চরিত্র, ফুটবল আর স্থিতিস্থাপকতার অনন্য প্রদর্শনী।

বিপরীতে, কার্লো আনচেলত্তির ব্রাজিল যেন হারিয়ে ফেলেছিল পরিচিত ‘জোগো বোনিতো’র ছাপ। এলোমেলো, নিষ্প্রভ আর দিশেহারা খেলা—শেষ পর্যন্ত কেবল গোলরক্ষক অ্যালিসনের নৈপুণ্যেই বড় ব্যবধানে হার এড়িয়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

প্রথম মিনিটেই কর্নার থেকে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে ব্রাজিল, কিন্তু তারপরই পাল্টা আক্রমণের ঝড় তোলে স্বাগতিকরা। ৮ মিনিটে মেদিনা রোমানের ক্রসে ভিয়ায়ামিলের মিস শট ছিল আগাম বার্তা—এদিন বলিভিয়া আক্রমণেই থাকবে। দর্শকদের গর্জন, মাঠে নিরবচ্ছিন্ন চাপ আর আলিসনের নৈপুণ্যে বেঁচে থাকা ব্রাজিল—এভাবেই এগোয় খেলা।

প্রথমার্ধের শেষ দিকে মেদিনা চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লেও, ক্ষতিপূরণ মেলে বিরতিতে যাওয়ার আগে। ভিএআরের সহায়তায় পাওয়া পেনাল্টি থেকে মিগুয়েল তেরসেরোস গোল করে উল্লাসে ভাসান পুরো এল আল্টো।

দ্বিতীয়ার্ধেও একই চিত্র—বলিভিয়ার আগ্রাসী ফুটবল আর ব্রাজিলের প্রাণহীন প্রতিরোধ। আনচেলত্তি একসঙ্গে চার বদলি করলেও বদলায়নি দৃশ্যপট। গোলের সুযোগ না তৈরি করে হোঁচট খেতে থাকে ব্রাজিল। শেষ পর্যন্ত তেরসেরোসের সেই এক গোলেই জয় তুলে নেয় বলিভিয়া, আর সমর্থকরা আবার বিশ্বাস করতে শুরু করেছে—তিন দশকের অপেক্ষার প্রহর এবার ফুরোতে চলেছে।