লাল কার্ডে নাখোশ মাদ্রিদ কোচ, ভয় পাননি এমবাপ্পে
শনিবার সোসিয়েদাদের মাঠে জয়ের দেখা পায় রিয়াল মাদ্রিদ। এদিন ১০ জনের স্কোয়াড নিয়েও ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জাভি আলোন্সোর দল। এ নিয়ে টানা চার ম্যাচে জয় পেলো রিয়াল। তবে এদিন বিতর্ক তৈরি হয় ডিন হুইসেনের লাল কার্ডকে কেন্দ্র করে।
ম্যাচ শেষে কিলিয়ান এমবাপ্পে বলেন, ‘লাল কার্ডে ম্যাচটা বদলে গিয়েছিল, তবে আমরা ভয় পাইনি। দ্বিতীয় গোল করেছি। কষ্ট করেছি একসঙ্গে দল হিসেবে। আর শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই ফিরেছি। আমাদের শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল, আমারও তাই। তবে মৌসুম অনেক লম্বা, আমাকে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে’।
ম্যাচের লাল কার্ড নিয়ে কথা বলেন জাভি আলোন্সোও। এ স্প্যানিশ কোচ এবং সাবেক রিয়াল তারকা বলেন, ‘আমার জন্য, এটা একটা হলুদ কার্ড ছিল। এডার মিলিটাও কাছেই ছিল, বল নিয়ন্ত্রণে ছিল না আমাদের। সেখানেও ৪০ মিটার বাকি ছিল। এটাই আমার ব্যাখ্যা। রেফারির কাছে আরেকটি ছিল (ব্যাখ্যা) এবং ভিএআরের কাছেও অবশ্যই আরেকটি ছিল। কিন্তু আমি রিপ্লে দেখেছি এবং আমি আমার মন পরিবর্তন করছি না। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, সে আমাকে তার ব্যাখ্যা দিয়েছে, কিন্তু আমি নিশ্চিত নই। কিন্তু বিষয়টা এখানেই ছেড়ে দেয়া যাক’। ম্যাচজয়ে আলোন্সো বলেন, ‘চারটি, কিন্তু আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এখনও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে এবং আমরা কোনও কিছুকেই হালকাভাবে নিতে পারি না, তবে আমরা খুশি। উন্নতির সুযোগ আছে। এমন কিছু তৈরি করতে হবে যা আমাদের পুরো মৌসুম জুড়ে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দেবে’।
এদিন ম্যাচের ১২তম মিনিটে মাদ্রিদকে এগিয়ে নেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। এরপর ৩১তম মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হয় লস ব্লাঙ্কোরা। প্রতিপক্ষ সোসিয়েদাদের খেলোয়াড়কে ফাউল করে লাল কার্ডে মাঠ ছাড়েন ডিন হুইসেন। এ নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে আট ম্যাচ খেলে দুইবার লাল কার্ড দেখনে স্প্যানিশ এ তরুণ প্লেয়ার। ম্যাচের হাফ টাইমের আগে ৪৪তম মিনিটে আর্দা গুলেরের স্ট্রাইকে দ্বিতীয় গোল করে রিয়াল। বিরতি থেকে ফিরে অবশ্য রক্ষনভাগ ঠেকাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে রিয়াল। এরপর কিছু চেষ্টার পর ৫৬তম মিনিটে মিকেল ওয়াইয়ারজাবাল পেনাল্টি থেকে একটি গোল শোধ দিলে ম্যাচে ফেরে সোসিয়েদাদ। ম্যাচের শেষ সময়ে কিলিয়ান এমবাপ্পে একটা সুযোগ তৈরি করলেও তা লক্ষ্যভেদ হয়নি। ৬৫তম মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ পান ওইয়ারসাবাল। এবার কাছ থেকে তার শট ঠেকান রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। ৮৪তম মিনিটে আবার দলকে রক্ষা করেন বেলজিয়ান এ কিপার। ম্যাচে এ সময়ে এগিয়ে এসে আরও একবার ওইয়ারসাবালের প্রচেষ্টা রুখে দেন তিনি। এদিন প্রায় ৬৪ শতাংশ পজিশন রেখে গোলের জন্য মোট ২৩টি শট নেয় সোসিয়েদাদ। যদিও লক্ষ্যে ছিল কেবল চারটি। আর রিয়ালের ১৬ শটের মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ৬টি শট।