এশিয়া কাপকে সামনে রেখে প্রস্তুতিতে ব্যাপক তোড়জোড় চালাচ্ছে বাংলাদেশ। মহাদেশীয় এই টুর্নামেন্টে ভিন্ন কোনো গল্প লেখাই উদ্দেশ্য টাইগারদের। সেই লক্ষ্য পূরণে সাধ্যের সবটাই দিচ্ছে বিসিবি।
প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি রাখছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। সব ধরনের সার্ভিস দেয়াই লক্ষ্য তাদের। নিয়মিত কোচ-স্টাফদের বাইরে নিয়োগ দেয়া হয়েছে পাওয়ার হিটিং কোচ জুলিয়ান উডকে।
কয়েক দিন যাবত দেশের ক্রিকেটে আলোচিত নাম জুলিয়ান উড। বিশ্বের প্রথম এই পাওয়ার হিটার কোচকে ২৮ দিনের জন্য নিয়ে এসেছে বিসিবি। গত সপ্তাহে এসে কাজও শুরু করে দিয়েছেন তিনি।
ঢাকায় প্রথমে স্থানীয় কোচ আর নারী ক্রিকেটারদের সাথে কাজ করেছেন। এরপর শুরু করেছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে। রাজধানীতে তিন দিনের স্কিল ক্যাম্পে মূলত আলো ছিল তার দিকেই।
আগামী পরশু থেকে সিলেটে শুরু হবে মূল স্কিল ক্যাম্প। তার আগে জাকের আলি শুনালেন উডের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা। বলেন, ‘আমাদের পাওয়ার হিটিংয়ের কিছু স্কিল নিয়ে কাজ হচ্ছে। কিভাবে আরো উন্নতি করা যায়।’
‘যারা জেনেটিক্যালি ভালো আছে, তারা কিভাবে আরো ভালো করতে পারে। যারা টাইমার, তাদেরকে কিভাবে আরো ২-৩ মিটার ভালো দূরত্ব দেয়া যায়, ওই জিনিসগুলো নিয়ে কাজ হচ্ছে।’- যোগ করেন জাকের।
জাকের আরো বলেন, ‘টাইমারদের কিন্তু পাওয়ার হিটার হতে বলেনি। টাইমাররা টাইমারই থাকবে। তারা কিভাবে শটের দূরত্ব আরো ৪-৫ বা ৬ মিটার বাড়াতে পারে তা নিয়ে কাজ হবে। আগে যেটা আউট হতো, সেটা এখন ছক্কা হয়ে যাবে।’
তবে পরিবর্তন বুঝতে ম্যাচের দিকে তাকিয়ে জাকের। বলেন, ‘পরিবর্তনগুলো তো এত সহজে ম্যাচ ছাড়া পরিমাপ করতে পারবেন না। যেহেতু দুই-তিন দিনই হলো, স্কিলে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ হয়েছে। এই স্কিলগুলোই আবার সামনে সিলেটে হবে, ওইখানে আরো ভিন্ন কিছু হবে।’
‘এত তাড়াতাড়ি মন্তব্য করাটা ঠিক হবে না যে কী উন্নতি হয়ে গেল। আমার মনে হয় আরেকটু সময় লাগবে। আমাদেরকে যে কাজগুলো দেয়া হয়েছে, সেগুলো করার চেষ্টা করছি। সুতরাং এই সুইং প্র্যাকটিসগুলো কিংবা ভিন্ন কৌশলগুলো এগুলা অবশ্যই কাজে আসবে।’