বাবর-রিজওয়ানের দুর্বলতা নিয়ে ‘প্রকাশ্যে’ যা বললেন পাকিস্তান কোচ

বাবর-রিজওয়ানের দুর্বলতা নিয়ে ‘প্রকাশ্যে’ যা বললেন পাকিস্তান কোচ

১০ মাস ধরে জাতীয় দলের বাইরে বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। এশিয়া কাপের স্কোয়াডেও জায়গা হয়নি পাকিস্তানের দুই তারকা ব্যাটারের। দু‘জনকে যে স্ট্রাইক রেটে উন্নতি করতে হবে, তা নানা সময়ে বলে এসেছেন পাকিস্তান কোচ মাইক হেসন। এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ওমানের বিপক্ষে খেলার আগে সংবাদ সম্মেলনে হঠাৎ একটি প্রশ্ন উড়ে এলো হেসনের কাছে, ‘বাবর-রিজওয়ানকে বাদ দেয়ার কারণ প্রকাশ্যে বলার সাহস আপনার আছে?’ প্রশ্নটি আরেকবার শুনে একটু হেসে নিয়ে গ্রিন ক্যাপদের কোচ জানালেন, কারও বিরুদ্ধে তার কোনো এজেন্ডা নেই। যা আছে, সেটি হলো সিদ্ধান্ত গ্রহণের সততা।

শেষ ১০ মাসে বাবর-রিজওয়ান প্রসঙ্গে কম প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়নি ৫০ বছর বয়সী হেসনকে। তবে আচমকা এমন আগ্রাসী ধরণের প্রশ্নের জন্য হয়তো প্রস্তুত ছিলেন না তিনি। তাই কিছুটা চমকে গিয়েই প্রশ্নটি আবার শুনতে চাইলে, প্রশ্নকর্তা কিছুটা শান্ত গলায় ফের জানতে চান একই প্রসঙ্গে। উত্তরে হেসন বলেন, ‘ক্রিকেটারদের বিচার-বিশ্লেষণে সৎ থাকা খুব দরকার। কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় যেন ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ বা কোনো উদ্দেশ্য কাজ না করে, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যেন সবকিছু নিরপেক্ষভাবে দেখি। আমি তো কারও দুর্বলতা নিয়ে কিছু বলিনি।‘ হেসন আরও বলেন, ‘আমি সবসময় যা বোঝাতে চেয়েছি, তা হলো—আধুনিক ক্রিকেটে এমনভাবে খেলতে হয়, যেখানে স্ট্রাইক রেট খুব গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে ভালো পিচে খেললে। প্রতিটি খেলোয়াড় চায়, কোচ যেন তার সঙ্গে খোলামেলা ও সৎ আচরণ করেন। কোচদের এটি মাথায় রাখতে হয়। পছন্দসই কেউ বা কারও সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকার মানে এই নয় যে, সেখানে সততা থাকবে না।’

মূলত পাকিস্তান দলের ব্যাটাররা ধারাবাহিক পারফর্মেন্স না করতে পারার কারণেই বারবার বাবর-রিজওয়ান প্রসঙ্গ উঠে আসছে। এ বিষয়ে দ্বিমত নেই হেসনেরও। তবে দলের ব্যাটারদের প্রতিভা ও সম্ভাবনার দিক মনে করিয়ে দিয়ে হেসন বলেন, ‘এই ব্যাটিং লাইনআপটা এখনও গড়ে উঠছে। দলে এমন কিছু ব্যাটার আছে, যারা নিজেদের দিনে একাই ম্যাচ জেতাতে পারে। তবে এখনও তারা নিয়মিতভাবে সেটি করে দেখাতে পারছে না। এটি ঠিক। আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো—এই ব্যাটিং ইউনিটে কে, কী করতে পারে, কার ভেতরে কী সম্ভাবনা আছে, সেটা বুঝতে পারা।’ শারজাহতে এশিয়া কাপের আগে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রতিকূল উইকেটের কথাও স্মরণে করিয়ে দিলেন হেসন। সেখানে ব্যাটারদের পারফর্মেন্স উল্লেখ করে গ্রিন ক্যাপ কোচ আরও বলেন, “শারজাহতে প্রতিটি ম্যাচেই আমরা সম্ভবত ‘পার’ স্কোরের চেয়ে ২০ রান বেশি করেছি। হ্যাঁ, মাঝেমধ্যে কিছু ব্যাটার ভালো খেলতে পারেনি, তবে আমি আসলে বেশি গুরুত্ব দিই শেষ পর্যন্ত আমরা কত রান করেছি আর তা কীভাবে করেছি, সেটিতে। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে আমরা ১৪০ রান করি, যেখানে ওই উইকেটে ১২০ রানই অনেক বড় স্কোর ধরা যায়।”
এশিয়া কাপে প্রথমবার খেলতে আসা ওমানের পর নিজেদের পরবর্তী ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে নামবে পাকিস্তান। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বহুল প্রতিক্ষীত ম্যাচটি গড়াবে আগামী রোববার।