বয়স নিয়ে প্রশ্নে চটে গেলেন ভার্ডি

বয়স নিয়ে প্রশ্নে চটে গেলেন ভার্ডি

৩৮ বছর বয়সে ক্যারিয়ারের নতুন অধ্যায়ের সূচনা। বেশ রোমাঞ্চ নিয়েই নিশ্চয়ই নতুন ক্লাবের হয়ে প্রথম সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন জেমি ভার্ডি। কিন্তু সেখানে একটি প্রশ্ন শুনে মেজাজ ঠিক ধরে রাখতে পারলেন না তিনি। বয়স নিয়ে প্রশ্নে ইংলিশ ফরোয়ার্ড জবাব দিলেন বেশ আগ্রাসী ভঙ্গিতে।

লেস্টার সিটিতে ১৩ বছরের অধ্যায় চুকিয়ে সম্প্রতি ইতালির ক্লাব ক্রেমেনোজেতে নাম লিখিয়েছেন ভার্ডি। প্রায় ১৯ বছরের পেশাদার ক্যারিয়ারে প্রথমবার ইংল্যান্ডের বাইরের কোনো ক্লাবে খেলবেন তিনি।

লেস্টারে তিনি স্মরণীয় থাকবেন কিংবদন্তি হয়ে। তবে সেখানে শেষ দিকে তার পারফরম্যান্সে ছিল না আগের মতো ধার ও ধারাবাহিকতা। বয়সের ছাপ পড়েছে বলেই ধারণা অনেকের।

ক্রেমোনেজেতে আসার পর নানা প্রশ্নের ভীড়ে তাই বয়সের প্রশ্নটি হয়তো অবধারিতই ছিল। কিন্তু সেই প্রশ্ন করা সংবাদকর্মীকে বেশ একহাত নিলেন ৩৮ বছর বয়সী তারকা।

“আপনি নিশ্চয়ই সংশয়বাদীদের একজন এবং আপনাকেই আমি ভুল প্রমাণ করব। এখন শুনুন, আমার কাছে বয়স স্রেফ একটি সংখ্যা… আগের পা আগে যা করত, সেটা যতদিন পর্যন্ত করতে পারবে এবং যতদিন আগে মতো তরতাজা থাকবে, ততদিন আমি চালিয়ে যাব। এই মুহূর্তে ধীরে চলার কোনো ইঙ্গিতও নেই, থেমে যাওয়া তো পরের কথা।”

২০১৫-১৬ মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে লেস্টারের রূপকথার শিরোপা জয়ের মূল নায়ক ভার্ডি। সেবার রেকর্ড টানা ১১ ম্যাচে গোল করাসহ লিগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ গোল করেছিলেন তিনি। পরে ২০১৯-২০ মৌসুমে লিগে গোল্ডেন বুট জিতেছিলেন ২৩ গোল করে। এছাড়া ২০২১ সালে লেস্টারের এফএ কাপ ও কমিউনিটি শিল্ড জয়েও তার ছিল অবদান।

তবে চমকপ্রদ সাফল্যগুলো ছাড়া লেস্টারকে বেশির ভাগ সময় লড়াই করতে হয়েছে প্রিমিয়ারে টিকে থাকতেই। এবার ইতালিতে গিয়েও সেই একই চ্যালেঞ্জ ভার্ডির সামনে। সেরি বি থেকে এই মৌসুমেই সেরি আ-তে উঠে এসেছে ক্রেমোনেজে। শীর্ষ লিগে টিকে থাকাই তাদের মূল লক্ষ্য।

এই লড়াইয়ের পথটা তো খুব ভালো করেই জানেন ভার্ডি। নতুন ক্লাবেও পুরোনো সাফল্যের ধারা বয়ে আসার প্রত্যয় অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ডের।

“সেখানে (লেস্টার) কোনো এমন ব্যাপার ছিল না যে, ‘আমরা এটির (ট্রফি) জন্য লড়ব।’ সেখানে সবসময় ছিল, ‘আমাদেরকে লিগে টিকে থাকতে হবে।’ মূল লক্ষ্য ছিল সেটি। প্রতিটি ম্যাচ ধরে ধরে এগোতো হতো, প্রতিটি ম্যাচে সর্বস্ব ঢেলে দিতে হতো। এই তো। সেই চেষ্টায় আমরা অনেক জিতে গেছি এবং সেটিই ফুটবল।”

“এখানও ব্যাপারটি এমনই হবে। দিনশেষে লড়াইটা তো ১১ জনের সঙ্গে ১১ জনের। আমরা তাই অনুশীলনে চেষ্টা করব যতটা সম্ভব কঠোর পরিশ্রম করতে, যেন প্রতিটি ম্যাচের জন্য তৈরি থাকি। তার পর একটি করে ম্যাচ ধরে এগোব এবং দেখব সেই পথ আমাদের কোথায় নিয়ে যায়।”

শীর্ষ লিগে উঠে এসে ক্রেমোনেজের শুরুটা হয়েছে অভাবনীয়। এসি মিলানকে হারিয়ে চমক দিয়ে লিগ শুরু করার পর দ্বিতীয় ম্যাচেও জিতেছে তারা। নতুন মৌসুমে প্রথম দুই ম্যাচেই জয়ের স্বাদ পাওয়া চার ক্লাবের একটি তারা।