ফুটবলার ঋতুপর্ণার জন্য বাড়ি বানাবে ক্রিকেট বোর্ড
সাম্প্রতিক সময়ে ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফরম্যান্স করেছেন ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমা। ২০২৪ সালে তার গোলেই টানা দ্বিতীয়বার সাফের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। গত মাসে তার জোড়া গোলের কারণেই শক্তিশালী মিয়ানমারকে বধ করে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো এএফসি এশিয়ান কাপ খেলা নিশ্চিত করে। দেশের ক্রীড়াঙ্গনের এত বড় তারকার বাড়ির অবস্থা জীর্ণশীর্ণ। তাই ঋতুপর্ণাকে বাড়ি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে বিসিবির পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু প্রেস ব্রিফিংয়ে এসে বলেন, 'জাতীয় নারী দলের ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমাকে বাড়ি করে দেবে বিসিবি।’২১ বছর বয়সী ঋতুপর্ণার বাড়ি রাঙামাটির প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চলে। তার বাবা ও একমাত্র ভাই মারা গেছেন। তাই ঋতুর আয়েই চলে সংসার। তার ক্যান্সার আক্রান্ত মায়ের অসুস্থতার পেছনেও অনেক অর্থ ব্যয় হয়। ফলে জীর্ণশীর্ণ বাড়ির চেহারা আর বদলানো হয়নি তার। তাই নিজ উদ্যোগে ঋতুপর্ণার বাড়ি নির্মাণের দায়িত্ব নিয়েছে বিসিবি। বাংলাদেশ নারী ফুটবলের দলের ১৩ জন ভুটান লিগ খেলছেন। ভুটান থেকে অতি স্বল্প সময়ের জন্য ঢাকায় এসেছেন ঋতুপর্ণা চাকমা ও তহুরা খাতুন। ভুটান থেকে এসে দুই ফুটবলার প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কারে তিনটি ট্রফি পেয়েছেন। ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাসকিন আহমেদকে পিছনে ফেলে ২০২৪ সাল তিনি সেরা ক্রীড়াবিদের পুরস্কার পেয়েছেন ঋতুপর্ণা। আর বর্ষসেরা নারী ক্রীড়াবিদ হয়েছেন জাতীয় নারী দলের ফরোয়ার্ড তহুরা খাতুন।
দুইবারের সাফজয়ী ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমার রাঙামাটির বাড়ি যেন সাফল্যের আড়ালে লুকিয়ে থাকা বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি। বাঁশের বেড়ার সাধারণ সেই ঘর নিয়ে একসময় গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে উঠে আসে নানা আলোচনা। সাফ জয়ের পর পুরস্কার হিসেবে স্থানীয় প্রশাসন তাকে জমি দিলেও এখনও সেখানে বাড়ি নির্মাণ করে উঠতে পারেননি তিনি। গত বছর নিজের সেই অসহায় অবস্থার কথা সামাজিক মাধ্যমে আক্ষেপ করে জানিয়েছিলেন এই গর্বিত ফুটবলার।