নওয়াজের হ্যাটট্রিকের পর ফাইফার, ত্রিদেশীয় সিরিজ পাকিস্তানের
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে পাকিস্তানের সামনে দাঁড়াতেই পারল না আফগানিস্তান। গ্রিন ক্যাপদের দেয়া ১৪২ রানের লক্ষ্যে আফগানরা আটকে যায় স্রেফ ৬৬ রানেই। পাকিস্তানের ৭৫ রানের জয়ের নায়ক মোহাম্মদ নওয়াজ। দেশের স্রেফ তৃতীয় বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক তুলে নেন এ বাঁহাতি স্পিনার। ৪ ওভারে একটি মেডেনসহ ১৯ রানের খরচে নেন ৫ উইকেট। এ সংস্করণে নওয়াজের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং এটিই। এর আগে ব্যাট হাতে ২ ছক্কায় ২১ বলে খেলেন দলীয় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫ রানের ইনিংস।
পুরো সিরিজে ব্যাটে ১২০ রান ও বল হাতে ১০ উইকেট তুলে নিয়ে সিরিজসেরাও নওয়াজই। রোববারই প্রথম ফাইফারের স্বাদ পেলেন মোহাম্মদ নওয়াজ। অন্যদিকে, টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানের তেঁতো অভিজ্ঞতা নিয়ে হার দেখতে হলো আফগানিস্তানকে। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করা ৫৬ রান তাদের সর্বনিম্ন। শারজাহতে এ সিরিজের সাত ম্যাচের সবগুলোতে জিতল আগে ব্যাটিং করা দল।
আফগানিস্তানের রান তাড়ায় ষষ্ঠ ওভারে বোলিংয়ে এসে শেষ দুই বলে দারউইশ রাসুলি ও আজমতউল্লাহকে তুলে নেন নওয়াজ। অষ্টম ওভারে ফের বোলিংয়ে এসে ইব্রাহিম জাদরানকে স্টাম্পিংয়ে ফাঁদে ফেলে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন এ ৩১ বছর বয়সী ক্রিকেটার। রিপ্লে দেখে আউটের সিদ্ধান্ত জানান আম্পায়ার। পাকিস্তানের হয়ে নওয়াজের আগে এই স্বাদ পান ২০১৭তে ফাহিম আশরাফ ও ২০১৯-এ মোহাম্মদ হাসনাইন। একই ওভারের চতুর্থ বলে করিম জানাতকে এলবিডব্লিউ করে চতুর্থ উইকেট নেন নওয়াজ। আর ১৩তম ওভারে হাত ঘুরাতে এসে আফগান অধিনায়ক রশিদ খানকে ক্যাচ বানিয়ে পূরণ করেন ফাইফার।
পাকিস্তানের হয়ে সীমিত ওভারের ৭১ ম্যাচ খেলা নওয়াজ নতুন করে লেখেন নিজের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার। এর আগে এ সংস্করণে কখনওই ৩ উইকেটের বেশি নিতে পারেননি তিনি। পাকিস্তানের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে এটি পঞ্চম সেরা বোলিং।
রান তাড়ায় এদিন আফগানিস্তানের হয়ে দুই অঙ্কের রান ছুঁতে পারেন স্রেফ দুজন। সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ১৭ রানের ইনিংস খেলেন রশিদ। এছাড়া ৯ রানের বেশি করতে পারেন স্রেফ ওপেনার সেদিকুল্লাহ আতাল (১৩)। গ্রিন ক্যাপদের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন আবরার আহমেদ ও সুফিয়ান মুকিম। এর আগে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে ১৪১ রানে থামে পাকিস্তানের ইনিংস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৭ রানের ইনিংস খেলেন ফখর জামান। নওয়াজ ছাড়া এদিন ২০ রানের বেশি করতে পারেন শুধু অধিনায়ক সালমান (২৪)। আফগানিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন রশিদ খান। ২টি করে নেন ফজলহক ফারুকি ও নুর আহমাদ।