এশিয়া কাপের সবচেয়ে কঠিন গ্রুপে আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও হংকংয়ের সাথে রয়েছে বাংলাদেশ। সুপার ফোরে যেতে তাই বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে টাইগারদের। যার শুরুটা হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল, প্রতিপক্ষ হংকং। সহজ প্রতিপক্ষ হলেও সতর্কই থাকছে টাইগাররা।
বাংলাদেশের অধিনায়ক লিটন দাস জানান, প্রতিপক্ষ ভালো ক্রিকেট খেলে ফেললে তখন বড় ব্যবধানে জেতাটা কঠিন হয়ে যাবে। তাই নিজেদের শতভাগ দিয়ে সবার আগে জয় নিশ্চিত করতে চান।
লিটন বলেন, ‘তারা যদি ভালো ক্রিকেট খেলে বসে সেক্ষেত্রে কিন্তু বড় ব্যবধানে জেতাটা কষ্টকর হয়ে যাবে। আমরা আমাদের শতভাগ দেয়ার চেষ্টা করব এবং ম্যাচ জেতার চেষ্টা করব। প্রথম লক্ষ্য ম্যাচ জেতা।’
সুপার ফোরে যাওয়ার ত্রিমুখী লড়াইটা হবে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মাঝে। তাই হংকংয়ের বিপক্ষে কারা কত ব্যবধানে জয় পাচ্ছে, সেটা বড় প্রভাব রাখবে সুপার ফোরে যাওয়ার ক্ষেত্রে।
তিনটি দলই যদি দু’টি করে ম্যাচ জেতে তখন রান রেট বড় ভূমিকা রাখবে। এসব ব্যাক অব দ্য মাইন্ডে থাকলেও হিতে বিপরীত কিছু হোক সেটা চান না লিটন। তিনি বলেন, ‘দেখুন- যেটা বললাম আপনার ব্যাক অব দ্য মাইন্ডে থাকতেই পারে।’
‘কিন্তু আপনাকে বুঝতে হবে আমরা কতখানি নিতে পারব। জিনিসটা হিতে বিপরীত যেন না হয়- রান রেট বাড়াতে গিয়ে যেন ম্যাচ না হারি। প্রথম লক্ষ্য হচ্ছে আগে ম্যাচ জেতা। আমরা যদি ভালো অবস্থায় থাকি চিন্তা পরিবর্তনও হতে পারে।’
বাংলাদেশের অধিনায়ক জানান, তাদের প্রথম লক্ষ্য সুপার ফোরে যাওয়া। বলেন, ‘এশিয়া কাপে এটা আমাদের প্রথম ম্যাচ। আপনারা জানেন আমাদের গ্রুপটা একটু ট্রিকি।’
‘আমরা যদি দ্বিতীয় রাউন্ডে জন্য কোয়ালিফাই করতে চাই, তাহলে আমাদের প্রত্যেকটা ম্যাচই জিততে হবে। এই মুহূর্তে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়া। প্রত্যেকটা ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ।’ যোগ করেন লিটন।
এশিয়া কাপে যাওয়ার আগে নেদারল্যান্ডসের সাথে একটা সিরিজ খেলে বাংলাদেশ। যেখানে দু’টি ম্যাচেই বড় ব্যবধানে জিতে টাইগাররা। প্রথম ম্যাচে ৮ ও দ্বিতীয় ম্যাচে ৯ উইকেটে জয় লাভ করে লিটন বাহিনী।
যে কারণে প্রথম দু’টি ম্যাচে মিডল অর্ডার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পায়নি। সিরিজের শেষ ম্যাচে সুযোগ পেলেও তেমন সুবিধা করতে পারেনি তাওহীদ হৃদয়রা। তবে লিটনের বিশ্বাস দলের প্রয়োজনে ঠিকই জ্বলে উঠবেন তারা।
তিনি বলেন, ‘শেষ কয়েকটা গেইম যদি দেখেন সাম্প্রতিক সময়ে টপ অর্ডাররা খুব ভালো পারফর্ম করছে। মিডল অর্ডারের হাতে খুব বেশি একটা দায়িত্ব আসেনি। আমি বিশ্বাস করি মিডল অর্ডারের হাতে যখনই দায়িত্ব আসবে তারা ঘুরে দাঁড়াবে। আগেও করেছে ও তারা করে দেখাবে।’