ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে এক রেকর্ডময় রাত দেখল ইউরোপিয়ান অঞ্চল। হাঙ্গেরির বিপক্ষে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনে ৩-২ গোলে জয় তুলে নেয় পর্তুগাল। এক গোল করে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে রেকর্ড গোলদাতা হিসেবে যৌথভাবে শীর্ষে উঠে আসেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। অন্য ম্যাচে, আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ফ্রান্সের ২-১ গোলে জয়ের ম্যাচে দেশের কিংবদন্তি থিয়েরি অরিকে পেছনে ফেলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। আরেক ম্যাচে ১১-১ গোলে মলদোভার বিপক্ষে জয় তুলে নেয় নরওয়ে। ম্যাচে একাই ৫ গোল করে দারুণ এক রেকর্ড গড়েন আর্লিং ব্রুট হালান্দও।
স্বাগতিক হাঙ্গেরির বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে গোল করেন রোনালদো। এ গোলে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ইতিহাসে এখন যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতার সিআরসেভেন। এতদিন এককভাবে এ রেকর্ড ধরে রাখেন গুয়াতেমালার কার্লোস রুইজ। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে তার গোল ৪৭ ম্যাচে ৩৯টি। ৪৯ ম্যাচে সমানসংখ্যক গোল করলেন রোনালদো। বাছাইয়ের আরও কিছু ম্যাচ খেলবেন পর্তুগিজ মহাতারকা। সেক্ষেত্রে এককভাবে শীর্ষস্থান দখলের সুযোগও পাবেন তিনি।
ম্যাচের ২১তম মিনিটে প্রথমে এগিয়ে যায় হাঙ্গেরি। বিরতির আগেই পর্তুগালকে সমতায় ফেরান বার্নার্দো সিলভা। বিরতির পর মাঠে ফিরে পেনাল্টি জেতেন রোনালদো, সফল স্পটকিকে দলকে এগিয়ে নেন তিনি। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে রোনালদোর গোল হল ১৪১টি। সব মিলিয়ে আল নাসর তারকার গোলসংখ্যা ৯৪৩। ৮৪তম মিনিটে ফের হাঙ্গেরিকে সমতায় ফেরান প্রথম গোলের মালিক বার্নাবাস ভারগা। তবে মিনিট দুয়েকের মধ্যে জোয়াও ক্যান্সেলোর দৃষ্টিনন্দন এক গোলে জয় নিশ্চিত করে পর্তুগিজরা।
অন্য ম্যাচে, ঘরের মাঠে শুরুতে পিছিয়ে পড়ে ফ্রান্সও। বিরতির আগে পেনাল্টি থেকে দলকে সমতায় ফেরান এমবাপ্পে। এ গোলেই দেশের জার্সিতে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় অরিকে (৫১) টপকে দুইয়ে উঠে আসেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। ৯২ ম্যাচে এমবাপ্পের গোল ৫২টি। ১৩৭ ম্যাচে ৫৭ গোল নিয়ে শীর্ষে অলিভার জিরুড। বিরতির পর মাঠে ফিরে স্বাগতিকদের জয়সূচক গোলটি এনে দেন ব্র্যাডলি বার্কোলা।
অন্য ম্যাচে, অবিশ্বাস্য এক রাত কাটান হালান্দ। এ ম্যানসিটি তারকা একাই মলদোভার জালে একে একে জড়ান ৫ গোল। থিলো আসাগার্দ করেন ৪ গোল। মলদোভার এক গোল আবার আত্মঘাতী। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ইউরোপের পুরুষ খেলোয়াড়দের মধ্যে অস্ট্রিয়ার হান্স ক্রাঙ্কলের পর এক ম্যাচে সর্বোচ্চ গোল করলেন হালান্দ। ১৯৭৭-এ মাল্টার বিপক্ষে একাই ৬ গোল করেন ক্রাঙ্কল। একইসঙ্গে, এ নিয়ে দেশের জার্সিতে টানা আট ম্যাচে ১৪ গোল করলেন হালান্দ।