বিশ্বকাপে জায়গা পেতে সমস্যা হবে না নেইমারের, যদি...
ব্রাজিল কোচ কার্লো আনচেলত্তি জানিয়েছেন, আগামী বছরের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে নেইমারের অন্তর্ভুক্তি অনেকটাই নির্ভর করছে তার শারীরিক অবস্থার ওপর। ৩৩ বছর বয়সী তারকা ফরোয়ার্ড রেকর্ড পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সাম্প্রতিক বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দলে ছিলেন না।
চিলি ও বলিভিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সবশেষ দুটি ম্যাচের জন্য ঘোষিত ২৩ সদস্যের স্কোয়াড থেকে নেইমারকে বাদ দেন আনচেলত্তি। ইতালিয়ান কোচ তখন জানিয়েছিলেন, পায়ের পেশির হালকা চোটের কারণে নেইমারকে রাখা হয়নি। তবে পরে নেইমার দাবি করেছিলেন, তাকে বাদ দেওয়া হয় টেকনিক্যাল কারণে।
২০২৩ সালের অক্টোবরের পর থেকে ব্রাজিলের বিখ্যাত হলুদ জার্সি আর গায়ে চড়াতে পারেননি নেইমার। হাঁটুর লিগামেন্টের গুরুতর চোটে পড়ার পর থেকেই বারবার তার জাতীয় দলে ফেরার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
শুক্রবার সংবাদমাধ্যম ইএসপিএন ব্রাজিলকে আনচেলত্তি বলেন, 'নেইমার কীভাবে খেলে সেটা আমরা দেখতে যাচ্ছি না। তার প্রতিভার কথা সবাই জানে। আধুনিক ফুটবলে তার প্রতিভা কাজে লাগাতে হলে শারীরিকভাবে ফিট থাকা খুবই জরুরি। যদি সে তার সেরা শারীরিক অবস্থায় থাকে, তাহলে জাতীয় দলে জায়গা পেতে তার কোনো সমস্যা হবে না।'
তিনি আরও যোগ করেন, 'সবাই চায় নেইমারকে জাতীয় দলে দেখতে, তবে সেটা হতে হবে ভালো শারীরিক অবস্থায়। আমি ওর সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং বলেছি, "তোমার হাতে যথেষ্ট সময় আছে নিজেকে সেরা অবস্থায় প্রস্তুত করার, যাতে তুমি বিশ্বকাপে এসে দলকে সর্বোচ্চটা দেওয়ার সুযোগ করে দিতে পারো।"'
সৌদি ক্লাব আল হিলাল ছেড়ে শৈশবের ক্লাব সান্তোসে ফেরার পর মাঝে মধ্যেই ঝলক দেখিয়েছেন নেইমার। তবে গত মাসে ভাস্কো দ্য গামার বিপক্ষে দলটির ৬-০ ব্যবধানের বিব্রতকর হারের দিনে কান্নাভেজা চোখে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাকে।
আনচেলত্তি জানিয়েছেন, নেইমারকে মূলত সব কিছুর কেন্দ্রে খেলানোর পরিকল্পনা করছেন তিনি— অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার কিংবা স্ট্রাইকার হিসেবে, 'আমি ওর সঙ্গে কথা বলেছি… সব কিছু পরিষ্কার, পরিকল্পনাও একই আছে। ও আর বাইরের দিকে বা উইংয়ে খেলতে পারবে না। কারণ আধুনিক ফুটবলে উইঙ্গারদের শারীরিক সক্ষমতা থাকা জরুরি। তবে অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে সে কোনো সমস্যা ছাড়াই খেলতে পারবে।'
দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল থেকে বাছাইপর্বের বাধা পেরিয়ে ইতোমধ্যে সরাসরি ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার টিকিট পেয়েছে ব্রাজিল। আগামী মাসে তারা মাঠে নামবে দুটি প্রীতি ম্যাচে। ১০ অক্টোবর সিউলে দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোমুখি হওয়ার পর আনচেলত্তির শিষ্যরা ১৪ অক্টোবর টোকিওতে মোকাবিলা করবে জাপানকে।