এএফসি অনূর্ধ্ব’২৩ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইয়ে টানা দুই ম্যাচ হেরে আগেই মূল পর্ব খেলার সম্ভাবনা শেষ হয়। শেষ ম্যাচ ছিল স্রেফ নিয়মরক্ষার। সেই ম্যাচেই কিনা জ্বলে উঠলেন ফাহমিদুল-মোরসালিনরা। ১২ মিনিটের ঝড়ে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বড় জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ।
ভিয়েতনামের ভিয়েত ত্রি স্টেডিয়ামে আজ ‘সি’গ্রুপের ম্যাচে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ৪-১ গোলে জিতেছে বাংলাদেশ। আসরের প্রথম ম্যাচে ভিয়েতনামের বিপক্ষে ২-০ গোলে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ইয়েমেনের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তের গোলে ১-০ ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। ওই হারেই মূল পর্বের খেলার লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে তারা। ১১ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন এবং ১১টি রানার্সআপ দলের মধ্যে সেরা চারটি খেলবে ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে সৌদি আরবে অনুষ্ঠেয় মূল পর্বে। নিয়মরক্ষা ম্যাচে জ্বলে উঠলেও তাই মূল পর্বে খেলা হচ্ছে না বাংলাদেশ দলের। এর আগে গত বছর বাছাইয়ে গ্রুপ পর্বে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ফিলিপিন্সের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচেই হেরেছিল তারা। বিদায় নিয়েছিল গ্রুপের টেবিলের তলানিতে থেকে। এবার অন্তত একটি জয় পেল তারা, শেষ করল গ্রুপে তৃতীয় হয়ে। প্রথম দুই রাউন্ডে দুটিতেই জিতে সমান ৬ পয়েন্ট নিয়ে ভিয়েনাম গ্রুপের শীর্ষে আছে। ইয়েমেন আছে দুইয়ে। এদিনই পরের ম্যাচে মুখোমুখি হবে দল দুটি।
এদিন ৬৯ মিনিট পর্যন্ত দুই দলই রক্ষণ অক্ষত রাখে। এরপর ১২ মিনিটের ঝড়ে সিঙ্গাপুরের রক্ষণ ভেঙে চূড়মা করে দেয় বাংলাদেশ। ৭০তম মিনিটে ডেডলক ভাঙেন ফাহমিদুল। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে জোরাল শটে বাংলাদেশকে লিড এনে তিনি। সিঙ্গাপুরের গোলরক্ষক বা দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েও গোল বাঁচাতে পারেননি। এটা বাংলাদেশের জার্সিতে ফাহমিদুলের প্রথম গোল। দুই মিনিট পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আল আমিন। ফরোয়ার্ড আল আমিনকে উদ্দেশ্য করে লং বল পাঠানো হয়। সেই লং বল আল আমিন দুর্দান্তভাবে রিসিভ করে দারুণ ফিনিশিং করেন। সিঙ্গাপুর গোলরক্ষক বক্স থেকে বেরিয়ে আসলেও সেভ করেত পারেননি।
৮০তম মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করেন মহসিন আহমেদ। এটাও লং বল থেকে। সিঙ্গাপুর ডিফেন্ডার বল ঠিক মতো ক্লিয়ার করতে পারেননি। মহসিন বল রিসিভ করে কোনাকুনি শটে গোল করেন। ৮২তম মিনিটে লক্ষ্যভেদ করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মোরসালিন। যোগ করা সময়ে এক গোল করে ব্যবধান কমায় সিঙ্গাপুর।