অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজকে সামনে রেখে দল আরও শক্তিশালী করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দলে যুক্ত হয়েছেন তরুণ বাঁ-হাতি পেসার কোয়েনা মাফাকা। সেই সঙ্গে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ওয়ানডে অভিষেকের দোড়গোড়ায় পৌঁছে গেছেন ব্যাটিং সেনসেশন ডেওয়াল্ড ব্রেভিস।
মাত্র ১৯ বছর বয়সেই আলো কাড়ছেন মাফাকা। সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩ ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়ে ছিলেন সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। দারুণ সেই পারফরম্যান্সই তাকে এনে দিয়েছে ওয়ানডে স্কোয়াডে জায়গা। যদিও তার নামের পাশে ইতোমধ্যেই আছে দুইটি ওয়ানডে ম্যাচের অভিজ্ঞতা। এবার কেয়ার্নসে মঙ্গলবার সিরিজের প্রথম ম্যাচেই তাকে দেখা যেতে পারে শুরুর একাদশে।
অন্যদিকে, ভক্তদের মাঝে ‘বেবি এবি’ নামে পরিচিত ডেওয়াল্ড ব্রেভিস ব্যাট হাতে সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলেছেন দারুণ। এবার সেই ছন্দ নিয়েই নামতে যাচ্ছেন ওয়ানডে ফরম্যাটে।
প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার জন্যও সিরিজটি বিশেষ। জুনে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকাকে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জেতানোর পর এটি হবে তার প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরার মঞ্চ। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি কাটিয়ে ফিরছেন তিনি। বাভুমা নিজেই জানিয়েছেন, ফিটনেস ভালো আছে এবং তিনি তিন নম্বরে ব্যাট করবেন। উদ্বোধনী জুটি গড়বেন রায়ান রিকেলটন ও আইডেন মারকরাম।
অন্যদিকে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলে ফিরেছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার মার্নাস লাবুশেন, যিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ছিলেন না। নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব দেবেন অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ। তিনি সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়াকে ২–১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতিয়েছেন।
মার্শ বললেন, ‘৫০ ওভারের ম্যাচে মাঠে তিন-সাড়ে তিন ঘণ্টা কাটানো কিছুটা ভিন্ন অভিজ্ঞতা হবে। তবে মানসিক প্রস্তুতি ছাড়া তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। আমরা একই প্রক্রিয়া ধরে এগোব।’
সিরিজের প্রথম ওয়ানডে হবে কেয়ার্নসে মঙ্গলবার। বাকি দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ম্যাকায়।
দক্ষিণ আফ্রিকা দল: টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), করবিন বশ, ম্যাথিউ ব্রিৎসকে, ডেওয়াল্ড ব্রেভিস, নান্দ্রে বার্গার, টনি ডি জর্জি, আইডেন মারকরাম, কোয়েনা মাফাকা, সেনুরান মুথুসামি, কেশব মহারাজ, উইয়ান মুলডার, লুঙ্গি এনগিডি, লুয়ান-দ্রে প্রেটোরিয়াস, কাগিসো রাবাদা, রায়ান রিকেলটন, ত্রিস্টান স্টাবস, প্রেনেলান সুব্রায়েন।