‘আমাকে ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল’, বাবার ছুরিকাঘাতের ঘটনা নিয়ে ইয়ামাল
এক বছর আগে বাবার ছুরিকাঘাতের শিকার হওয়ার ভয়াবহ ঘটনা নিয়ে প্রথমবারের মতো কথা বললেন লামিনে ইয়ামাল। বার্সেলোনা তারকা জানালেন, ঘটনাস্থলে ছুটে যেতে বাধা দেওয়ার জন্য আত্মীয়রা তাকে বাড়িতে তালাবদ্ধ করে রেখেছিল।
২০২৪ সালের অগাস্টে বার্সেলোনা থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে মাতারো শহরে একটি পার্কিং লটে ইয়ামালের বাবা মুনির নাসরাউইকে ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা। তখন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, কিছু লোকের সঙ্গে মুনিরের কথা-কাটাকাটি হয়। এরপর লোকগুলো ফিরে এসে তাকে আক্রমণ করে ও একাধিকবার ছুরিকাঘাত করে চলে যায়।
১৮ বছর বয়সী ইয়ামাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক পডকাস্ট-এ তুলে ধরেন, কীভাবে ঘটনাটি জানতে পেরেছিলেন তিনি।
“আমার কাজিন মোহার সঙ্গে গাড়িতে ছিলাম আমি। গাড়িতে কারপ্লে ছিল, যা ফোনকে স্পিকারের সঙ্গে সংযুক্ত করে। আমার কাজিন, যে মরক্কোতে ছিল, আমাকে ফোন করে জিজ্ঞেস করল: ‘তুমি কি একা?’ এরপর সে ঘটনা সম্পর্কে বলতে শুরু করল। আরও ফোন কল এসেছিল। সেই সময় আমি ছিলাম ১৬ (আসলে ১৭) বছর বয়সী এক কিশোর।”
“গাড়ি থেকে নেমে মাতারোতে যাওয়ার জন্য প্রথমে ট্রেন স্টেশনে যাওয়ার চেষ্টা করি। কল্পনা করুন, আমি ছিলাম কিশোর এবং জানতে পারি যে আমার বাবাকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। আমি ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করি, কিন্তু আমার কাজিন আমাকে যেতে দেয়নি। তাকে বললাম, আমাকে মাতারোতে নিয়ে যাও, না হলে আর কখনও তোমার সঙ্গে কথা বলব না, কিন্তু তারা আমাকে যেতে দেয়নি। আমাকে ঘরে আটকে রেখেছিল এবং আমি বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম।”
সেদিন যেতে না পারলেও পরদিন হাসপাতালে বাবাকে দেখতে যান ইয়ামাল।
“সময়টা কঠিন ছিল। পরের দিন ছিল আমার অনুশীলন। পরে আমার বাবা ফোন করে বললেন যে, তিনি ভালো আছেন এবং আমাকে শান্ত থাকতে বললেন। পরের দিন তাকে হাসপাতালে দেখতে গেলাম এবং সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে আসে।”
“আমার বাবা ও দাদীকে যখন বাড়িতে আরাম করতে দেখি, একজন কিশোর হিসেবে শুধু এটিই চাইতে পারি আমি।”
ছুরিকাঘাতের তিন দিন পর ইয়ামালের বাবাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর মাঠে নেমে লা লিগায় ভালেন্সিয়ার বিপক্ষে বার্সেলোনার ২-১ ব্যবধানে জয়ে একটি গোল করেন ইয়ামাল।
অসাধারণ সব পারফরম্যান্সে ক্লাব বার্সেলোনা ও স্পেন জাতীয় দলের খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ তিনি অনেক দিন ধরেই। এই বছরের ব্যালন দ’র জয়ে ফেভারিটদের একজনও এই তরুণ উইঙ্গার।