অবশেষে নিরাপদে দেশে ফিরল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। নেপালে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ফ্লাইট কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় দেশটির রাজধানী কাঠমান্ডুতে আটকা পড়েছিলেন খেলোয়াড়, কোচ ও স্টাফরা।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ বিমানে করে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটে ঢাকার কুর্মিটোলায় অবস্থিত বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বীর উত্তম একে খন্দকারে অবতরণ করে বিমানটি। সংবাদ সংগ্রহের জন্য নেপালে গিয়ে আটকে যাওয়া গণমাধ্যমকর্মীরাও একই ফ্লাইটে ফিরেছেন।
এর আগে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, 'আজ ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি বিমানে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের নেপাল থেকে দেশে ফেরার কথা রয়েছে। বিমানটি আজ সকাল ১১টা ৫৩ মিনিটে ঢাকা থেকে নেপালের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।'
মূল সূচি অনুসারে, কোচ হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যদের গতকাল বুধবার দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু নেপালে দুর্নীতি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে সরকারবিরোধী আন্দোলন ও সহিংসতার কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। কারণ, বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
এর আগে নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ও শেষ ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচটি বাতিলের ঘোষণা আসে গত সোমবার। রাজনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ দল কাঠমান্ডুর একটি হোটেলে আটকা পড়ে।
সোমবার থেকেই শুরু হওয়া বিক্ষোভ ও সহিংসতায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলিসহ কয়েকজন মন্ত্রী পরদিন পদত্যাগ করেন।
পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সেদিনই একটি ফ্লাইটের ব্যবস্থা করে বাংলাদেশ দলকে ফেরানোর জন্য। তবে বন্ধ থাকায় ত্রিভুবন বিমানবন্দরে নামার অনুমতি পায়নি সেই বিমানটি। পরে তা ঢাকায় ফিরে আসে। বিমানবন্দর ফের খোলায় শেষমেশ তিন দিন অপেক্ষার পর ঢাকায় নিরাপদে পা রাখার স্বস্তি মিলেছে ফুটবলারদের।
আগামী মাসে বাংলাদেশ দলের ব্যস্ততা রয়েছে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে। তৃতীয় রাউন্ডে হংকংয়ের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলবে তারা। প্রথমটি অনুষ্ঠিত হবে ঢাকায় ৯ অক্টোবর, পরেরটি ১৪ অক্টোবর হংকংয়ে।