নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচে তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাটিংয়ের ছাপ দেখা গেছে র্যাঙ্কিংয়েও। টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটারদের তালিকায় ৮ ধাপ উন্নতি হয়েছে তানজিদ হাসান তামিমের। এক ধাপ এগিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন কুমার দাস।
যথারীতি আজ প্রকাশিত হয়েছে পুরুষ ক্রিকেটারদের সাপ্তাহিক হালনাগাদ। সেখানে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ব্যাটারদের মধ্যে তানজিদের অবস্থান ৩৬তম। তালিকায় এ বাঁহাতি ব্যাটারের উপরে নেই বাংলাদেশের আর কেউ। টাইগার অধিনায়ক লিটনের অবস্থান ৪৭তম। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৪০ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে ফেরেন তানজিদ। সে ম্যাচে ডাচদের দেয়া ১০৪ রানের তাড়ায় ৯ উইকেট হাতে রেখে ১৩.১ ওভারেই জিতে যায় স্বাগতিকরা। ম্যাচে ১৮ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন লিটনও। পরের ম্যাচে বেশি ভালো করতে পারেননি ২৪ বছর বয়সী তানজিদ। সাজঘরে ফেরেন ২৪ বলে ২৯ রানের ইনিংস খেলে।
অন্যদিকে, এদিনও লিটন ফেরেন বাংলাদেশকে জিতিয়েই। ২০ বলে অপরাজিত ৫৪ রান আসে অধিনায়কের ব্যাট থেকে। সফরকারীদের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে আজ বিশ্রাম দেয়া হয় তানজিদকে। সীমিত ওভারের সংস্করণে উন্নতি হয়নি বাংলাদেশের আর কারও। উল্টো দুই ম্যাচেই ব্যাটিং না পাওয়া তাওহীদ হৃদয় নেমে গেছেন ৬ ধাপ। জাকের আলীর অবনমন ৪ ধাপ। দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে নেয়ার সুযোগ পাননি তিনিও। দুই টাইগার ব্যাটার আছেন যথাক্রমে ৪৮ ও ৬৪ নাম্বারে।
বোলারদের তালিকায় আগের মতোই দ্বাদশ মোস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশের মধ্যে সবার উপরে এ বাঁহাতি পেসারই। ডাচদের বিপক্ষে ২ ম্যাচে ৩ উইকেট নেন মোস্তাফিজ, বিশ্রামে আছেন শেষ ম্যাচে। ১৭ নাম্বারে থাকা শেখ মেহেদী দুই ম্যাচে নেন ১ উইকেট, শেষ ম্যাচে বিশ্রামে তিনিও। আগের মতো ২৫ নাম্বারে আছেন তাসকিন আহমেদও, তিনিও দলের বাইরে থাকেন শেষ ম্যাচে। প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেটের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ২ উইকেট নেন এ ডানহাতি ফাস্ট বোলার।
এক ধাপ নেমে ২১ নাম্বারে রয়েছেন রিশাদ হোসেন। শরিফুল ইসলাম ৩ ধাপ অবনতিতে আছেন ৫০ নাম্বারে। সীমিত ওভারের সংস্করণে অলরাউন্ডার তালিকায় প্রথম ৩৫ জনের মধ্যে নেই বাংলাদেশের কেউ। এক ধাপ পিছিয়ে অ্যারন হার্ডির সঙ্গে যৌথভাবে ৩৮ নাম্বারে মেহেদী হাসান মিরাজ।