ওয়ানডে ক্রিকেটে ব্রিটস্কির অনন্য কীর্তি

ওয়ানডে ক্রিকেটে ব্রিটস্কির অনন্য কীর্তি

অস্ট্রেলিয়া সফরের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আজ ৮৮ রানের ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন ম্যাথু ব্রিটস্কি। তাতেই দক্ষিণ আফ্রিকার এ উইকেটকিপার-ব্যাটার এমন উচ্চতায় পৌঁছেছেন, যেখানে নেই আর কেউ। এখন পর্যন্ত দেশের হয়ে চারটি ওয়ানডে খেলেছেন ব্রিটস্কি, চারটিতেই করেছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব রান। ওয়ানডে ক্রিকেটের ৫৪ বছরের ইতিহাসে নিজের প্রথম চার ম্যাচে চারবারই ফিফটি ছাড়ানো ইনিংস খেলা প্রথম ব্যাটার ব্রিটস্কি।

চার ফিফটিতে ওয়ানডে ক্যারিয়ার শুরুর তালিকায় আছেন আরেকজন, তিনি ভারতের নভজ্যোৎ সিং সিধু। তবে তার নিজের খেলা প্রথম পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চারটিতে ফিফটি করেন সিধু। নিজের তৃতীয় ম্যাচে ব্যাটিং পাননি তিনি। অর্থাৎ, ম্যাচের হিসেবে না হলে, শুধু ইনিংসের হিসেবে প্রথম চার ইনিংসে ফিফটি আছে সিধুরও। তবে প্রথম চার ম্যাচের চারটিতেই ফিফটির কীর্তিতে ব্রিটস্কিই প্রথম। আজ নাথান এলিসের বলে অ্যালেক্স ক্যারির কাছে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৭৮ বলে ৮৮ রানের ইনিংস খেলেন ২৬ বছর বয়সী ব্রিটস্কি। ৮টি চার ও ২টি ছয় দিয়ে সাজানো তার ইনিংস। এ ডানহাতি ব্যাটারের ওয়ানডে অভিষেক হয় গত ফেব্রুয়ারিতে, লাহোরে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে ত্রিদেশীয় সিরিজের সেই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫০ রান করেন তিনি। এই সংস্করণে অভিষেকে এটিই সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। সেই ১৯৭৮-এ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৪৮ রান করে রেকর্ডটি দীর্ঘদিন নিজের কাছে রাখেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ওপেনার ডেসমন্স হেইন্স। পরের ম্যাচেও পাকিস্তানের বিপক্ষে হেইন্সের আরেকটি রেকর্ড নিজের করে নেন ব্রিটস্কি। সে ম্যাচে ৮৩ রান করে দুই ম্যাচে সাকুল্যে ২৩৩ রান করেন তিনি। ওয়ানডেতে প্রথম দুই ম্যাচেই দুইশ’ রান ছোঁয়ায় প্রথম ব্যাটারও ব্রিটস্কিই। নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম দুই ইনিংসে ১৯৫ রান করেন হেইন্স। পরে তিনি ক্রিজে আসেন অজিদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে, খেলেন ৫৭ রানের ইনিংস। ওয়ানডেতে নিজের প্রথম তিন ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও এটি। আর আজ ৮৮ রানের ইনিংসে ব্রিটস্কির সাকুল্যে রান ৩৭৮, যার ধারেকাছেও নেই আর কেউ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮০ রান আছে সতীর্থ টেম্বা বাভুমার।

যদিও অন্যান্য সংস্করণের শুরুটা এত ভালো হয়নি এ প্রোটিয়া ব্যাটারের। টি-টোয়েন্টিতে তার আন্তর্জাতিক অভিষেক ২০২৩-এ। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ১০ ম্যাচ খেলে ব্রিটস্কির ফিফটি স্রেফ একটি, ব্যাটিং গড় ১৬.৭৭। টেস্টে তার অভিষেক গত বছর বাংলাদেশ সফরে। চট্টগ্রাম টেস্টে একমাত্র ইনিংসে তিনি আউট হন রানের খাতা না খুলেই। পরে গত মে মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ইনিংসে রান করেন যথাক্রমে ১৩ ও ১।