যে কারণে আর্জেন্টিনায় মেসির ‘শেষ’ ম্যাচ দেখতে যাননি ডি মারিয়া
আসন্ন ২০২৬ বিশ্বকাপে লিওনেল মেসিকে দেখা যাবে কিনা, এ নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই ভক্তদের। ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ঘরের মাঠে সম্ভাব্য শেষ ম্যাচ খেলে এ বিষয়ে খোলামেলা কিছু বলেননি মেসিও। ম্যাচটিতে গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন না দেশের আরেক কিংবদন্তি ফুটবলার আনহেল ডি মারিয়া। তার কারণ ব্যাখ্যা করে এ আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার ভক্তদের একটি সুখবরও দিয়েছেন।
আর্জেন্টিনার টিভি চ্যানেল টিওয়াইসি স্পোর্টসে এক সাক্ষাৎকারে ডি মারিয়া স্পষ্ট করেন, মেসির পথচলা এখনো শেষ হয়নি। প্রথমে কেন তিনি মেসির ঘরের মাটিতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শেষ ম্যাচে ছিলেন না, তার ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘লিও মেসি এখনো অবসরে যায়নি। এটি ছিল তার শেষ বাছাইপর্বের ম্যাচ, তবে তার সামনে এখনো একটি বিশ্বকাপ আছে এবং এই ম্যাচের পর সে আরও ম্যাচ খেলবে। আমার কাছে এটি বিদায় নয়। এ কারণে আমি ম্যাচটি দেখতে যাইনি। আমি তার সঙ্গে কথা বলেছি। আমি খুশি যে তার এখনো অনেক কিছু বাকি আছে।’ মেসির ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলার মাঝে নিজের সিদ্ধান্ত নিয়েও কথা বলেন ৩৭ বছর বয়সী ডি মারিয়া। ২০২৪-এ কোপা আমেরিকা জিতে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানান এ তারকা মিডফিল্ডার। এ নিয়ে কোনো আফসোস নেই তার। বরং তরুণ প্রজন্মকে জায়গা করে দিয়ে বেশ আনন্দিতই তিনি। ২০২২ বিশ্বকাপ ও দু’বারের কোপা আমেরিকা জয়ী ডি মারিয়া বলেন, ‘আমি অনুভব করেছি যে (অবসরের) সময় এসেছে। নতুন প্রজন্ম প্রস্তুত, তারা নিজেরাই পথ চলতে পারবে। নিকো পাজ, (আলেহান্দ্রো) গারনাচো, (ফ্রাঙ্কো) মাস্তানতুয়ানো, (থিয়াগো) আলমাদা, এ ছেলেরা ভবিষ্যৎ গড়বে। তাদের দেখে আমার গর্ব হয়।’ আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনির ভূয়সী প্রশংসা করে ডি মারিয়া আরও বলেন, ‘তিনি যা করেছেন, অসাধারণ। তরুণদের সুযোগ দিচ্ছেন, যেমন এমএলএস (মেজর লীগ সকার) থেকে আসা থিয়াগো আলমাদা আজ নিয়মিত খেলছে এবং দারুণ পারফর্ম করছে। শুধু শিরোপা জেতা নয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তোলাই স্কালোনির বড় কৃতিত্ব।’ যদিও এখনো যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে হতে যাওয়া আসন্ন বিশ্বকাপে খেলার ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে কিছু বলেননি মেসি। ইন্টার মায়ামি ফরোয়র্ডের ঘরের মাঠের শেষ ম্যাচটি ছিল আবেগঘন। অনুশীলনের সময় ও জাতীয় সংগীত চলাকালীন ক্যামেরায় দেখা যায় তার অশ্রুসজল দু’চোখ।