সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের কাছে পাত্তাই পেলো না তুরস্ক। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিকদের ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিলো স্পেন। স্প্যানিশদের হয়ে দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক করলেন মিকেল মেরিনো। জোড়া গোলে দ্যুতি ছড়ালেন পেদ্রি। আরেক গোলদাতা পেদ্রির বার্সেলোনা সতীর্থ ফেররান তোরেস।
নিজেদের আগের ম্যাচে বুলগেরিয়ার বিপক্ষে প্রথমার্ধেই তিন গোল করে স্পেন। তবে বিরতির পর মাঠে ফিরে খেই হারিয়ে ফেলে তারা। শেষপর্যন্ত এই ৩-০ গোলেই জয় তুলে নেয় স্প্যানিশরা। ম্যাচের পর হতাশা থেকে তাদের কোচ দে লা ফুয়েন্তে বলেন, তুরস্কের বিপক্ষে আরও ভালো খেলবে তার দল। সেটিই দেখা গেল রোববার। ম্যাচে ৫১ শতাংশ বল নিজেদের পায়ে রাখা স্পেন গোলের দিকে ২১টি শটের মধ্যে লক্ষ্যে রাখে ১২টি। অন্যদিকে, স্বাগতিক তুরস্ক ১১টির মধ্যে স্রেফ ২টি শটই রাখতে পারে লক্ষ্যে।
তুর্ক অ্যারেনায় পেদ্রির ষষ্ঠ মিনিটের গোলে এগিয়ে যায় সফরকারীরা। ২২তম মিনিটে চমৎকার এক গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে স্পেন। ডি-বক্সে চার সতীর্থের সঙ্গে বল দেয়া-নেয়া করে পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকেই লক্ষ্যভেদ করেন মেরিনো। মিনিট দুয়েক পর অবিশ্বাস্য এক সুযোগ হাতছাড়া করেন লামিন ইয়ামাল। পেদ্রির ফিরতি পাস পেয়ে উড়িয়ে মারেন এ বার্সা তারকা। বিরতির বাঁশি বাজার কিছুক্ষণ আগে ধাক্কা খায় স্পেন। চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন নিকো উইলিয়ামস।
যদিও তা খুব একটা চিন্তার কারণ হয়নি ফুয়েন্তের ছেলেদের জন্য। যোগ করা প্রথম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন মেরিনো। বিরতির পর মাঠে ফিরে ৫৩তম মিনিটে ইয়ামালের পাস ধরে স্কোরলাইনে নাম তোলেন তোরেসও। এর মিনিট চারেক পর দৃষ্টিনন্দন এক গোলে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন মেরিনো। চলতি বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দুই ম্যাচে চার গোল করলেন এই আর্সেনাল তারকা। ৬২তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের শেষ গোলটি করেন পেদ্রি।
অন্য ম্যাচে লিথুনিয়ার মাঠে ৩-২ গোলে জয় তুলে নেয় নেদারল্যান্ডস। ডাচদের হয়ে জোড়া গোলে ইতিহাস গড়েন মেমফিস ডিপাই। কিংবদন্তি রবিন ভ্যান পারসিকে (৫০) টপকে দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন ডিপাই (৫২)।