ফাইনালে মিনিট বিশেক পরই থেমে গেলেন ইয়ানিক সিনার। অসুস্থতার কারণে ছেড়ে দিলেন খেলা। টানা দ্বিতীয়বার শিরোপা জেতা হলো না তার। সিনসিনাটি ওপেনের নতুন চ্যাম্পিয়ন কার্লোস আলকারাজ।
টেনিসে সময়ের অন্যতম সেরা দু’নাম ইয়ানিক সিনার ও কার্লোস আলকারাজ। উইম্বলডনের পর সিনসিনাটি ওপেনের ফাইনালেও মুখোমুখি হন দু’জনে। চলতি বছরে এ নিয়ে চতুর্থ ফাইনালে মুখোমুখি হন তারা।
দু’প্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই ফাইনালে ভিন্ন মাত্রা দেবে বলেই অপেক্ষায় ছিল সবে। অপেক্ষা করছিল আরো এক টান টান লড়াইয়ের। সিনসিনাটি ওপেনের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলেন পুরুষদের এক ও দু’নম্বর তারকা।
কিন্তু এ বার আর কোনো মহাকাব্যিক লড়াই দেখা গেল না। সোমবার মাত্র ২৩ মিনিটেই সিনসিনাটি ওপেন শিরোপা জেতেন কার্লোস আলকারাজ। খেলা ছেড়ে মাঝপথেই হার মেনে নেন সিনার।
অসুস্থতার কারণে আর খেলা চালিয়ে যেতে পারেননি সিনার। ততক্ষণে অবশ্য প্রথম সেটে ৫-০ এগিয়ে কার্লোস আলকারাজ। সিনার ম্যাচ ছেড়ে দেয়ায় চ্যাম্পিয়ন হলেন আলকারাজ।
প্রথম গেমে সার্ভিস করার সময় থেকেই সিনারকে দেখে মনে হচ্ছিল, কোথাও সমস্যা হচ্ছে। একের পর এক আনফোর্সড এরর, ডাবল ফল্ট করা শুরু করেন তিনি। ফলে পিছিয়ে পড়েন ইটালির টেনিস তারকা।
পর পর পাঁচটা গেম জেতেন আলকারাজ। তিনিও সিনারের খেলা দেখে কিছুটা অবাক হন। এরপর সিনার জানিয়ে দেন, আর খেলতে পারছেন না তিনি। খেলা শেষে মাথায় আইসপ্যাক ধরে বসে থাকতে দেখা যায় সিনারকে।
এরপর তিনি জানান, আগের রাত থেকেই অসুস্থ ছিলেন। চেষ্টা করেছিলেন খেলার। কিন্তু পারেননি। সিনার বলেন, ‘আমি খুব খুব দুঃখিত। জানি, অনেকেই কাজের দিন সময় বার করে আমাদের খেলা দেখতে এসেছিলেন। তাদের হতাশ করেছি। রাত থেকেই অসুস্থ ছিলাম।’
‘ভেবেছিলাম অন্তত ম্যাচটা শেষ করতে পারব। কিন্তু পারলাম না। আমি খুব দুঃখিত। আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’ পাশাপাশি আলকারাজকে শুভেচ্ছা জানান সিনার। বলেন, ‘আলকারাজকে অনেক শুভেচ্ছা। আরো একটা ট্রফি জিতলে। কিন্তু আমি জানি, তুমি এ ভাবে জিততে চাওনি।’
চ্যাম্পিয়ন হয়েও আলকারাজের মুখে হাসি ছিল না। তারও খারাপ লাগছিল। ম্যাচশেষে তিনি বলেন, ‘আমি জানি, এই পরিস্থিতি থেকে তুমি আরো শক্তিশালী হয়ে ফিরবে। ঠিক যেমনটা সত্যিকারের চ্যাম্পিয়নেরা করে।’
টেনিসে ম্যাচ শেষে জয়ী খেলোয়াড় ক্যামেরার লেন্সে সই করেন। সিনসিনাটি ওপেন জিতে আলকারাজ সেখানে লেখেন, ‘ক্ষমা করে দিও সিনার।’ তাকে দেখে বোঝা যাচ্ছিল, লড়াই করে চ্যাম্পিয়ন হতে চেয়েছিলেন তিনি।
সিনসিনাটি ওপেনে পুরুষদের ফাইনালে এটি মাত্র তৃতীয়বার অবসরের ঘটনা। সর্বশেষ এমন ঘটেছিল ২০১১ সালে, যখন নোভাক জোকোভিচ কাঁধের চোটের কারণে দ্বিতীয় সেটে খেলা ছাড়েন।