সেমিফাইনালে আলকারাজকে পেলেন জকোভিচ

সেমিফাইনালে আলকারাজকে পেলেন জকোভিচ

বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম ইউএস ওপেনের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেলেন নোভাক জকোভিচ। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের টেইলর ফ্রিটজের বিপক্ষে সার্বিয়ান তারকা জয় তুলে নেন ৬-৩, ৭-৫, ৩-৬, ৬-৪ গেমে। এর আগে মঙ্গলবার রাতে জিতে সেমিফাইনালের টিকিট কাটেন কার্লোস আলকারাজও। এ স্প্যানিশ তারকা চেক প্রকাতন্ত্রের জিরি লেহেচকার বিরুদ্ধে জয় তুলে নেন ৬-৪, ৬-২, ৬-৪ গেমে। অন্যদিকে, হাঁটুর চোটে কোয়ার্টার ফাইনালে অ্যারিনা সাবালেঙ্কার মুখোমুখি হতে পারেননি আরেক চেকিয়া খেলোয়াড় মারকেতা ভন্‌দ্রুসোভা। লড়াই ছাড়াই সেমিতে পৌঁছান সাবালেঙ্কা।
ফ্রিটজের বিপক্ষে আগের ১০ ম্যাচেই জয় তুলে নেন জকোভিচ। এবারের জয়ে অপরাজিত থাকার রেকর্ডটা বাড়িয়ে রাখলেন রেকর্ড ২৪ গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক। গতবারের ইউএস ওপেনের রানার্সআপ ফ্রিটজ এক সেট পেলেও পুরো ম্যাচে দাপট দেখান সার্বিয়ান তারকাই। বিশ্বের চতুর্থ বাছাইয়ের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়ে কোর্টেই ‘কেপপ ডেমন হান্টার্স’ সিনেমার সংগীতে কোমড় দোলান তিনি। মূলত, মঙ্গলবার ছিল জকোভিচকন্যা তারার জন্মদিন। ম্যাচের আগেই জকোভিচ জানান, এবার জন্মদিনে না থাকতে পারায় ৮ বছর বয়সী তারার মন খুব খারাপ হয়েছে। মেয়ের মন খারাপ বা রাগ ভাঙাতেই বুঝি এ পদ্ধতি বেছে নিলেন জকোভিচ। ম্যাচের পর এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ঘরে আমরা বিভিন্ন রকম কোরিওগ্রাফি করি, এটি (কোর্টের নাচ) তার একটি। আশা করি, সকালে ঘুম থেকে উঠার পর তার মুখে হাসি ফোটাতে পারব।’ জকোভিচ কোর্টে নামার আগেই মঙ্গলবার রাতে সেমি নিশ্চিত করেন ২২ বছর বয়সী আলকারাজ। আগামী শনিবার ফাইনালের লড়াইয়ে একে অপরের মুখোমুখি হবেন জকোভিচ ও আলকারাজ। সে ম্যাচের ভাবনায় জকোভিচ বলেন, ‘এটি সহজ হবে না। শরীরকে চাঙা করে তুলতে আগামী কয়েকদিন আমার জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। প্রয়োজন পড়লে পাঁচ সেটের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। জানি যে, নিজের সেরা টেনিসটাই খেলতে হবে।’ এদিকে, সেমির টিকিট পেয়ে আলকারাজ জানান, মন শান্ত করতে গলফ খেলেন তিনি। সরাসরি সেটে জয় তুলে নিয়ে স্প্যানিশ তারকা বলেন, ‘গলফ খেলে ভালই লাগছে। খুব ছোটবেলায় বাড়ির সামনে অল্প গলফ খেলতাম, খেলাটা পছন্দ হতো। ২০২০’র পর থেকে আরও বেশি করে খেলা শুরু করি। গলফ খেলতে নামলে মনে বেশ শান্তি আসে। নিজের খেলারও উন্নতি হয়।’