ওমরজাইয়ের রেকর্ডগড়া ফিফটিতে শুভসূচনা আফগানিস্তানের
এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে প্রত্যাশিত বড় জয়ই তুলে নিয়েছে আফগানিস্তান। মঙ্গলবার আবু ধাবিতে হংকংয়ের বিপক্ষে ৯৪ রানের জয়ে টুর্নামেন্টে শুভসূচনা করে রশিদ খানের দল। আগে ব্যাট করে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের রেকর্ডগড়া ফিফটিতে ৬ উইকেটে ১৮৮ রান করে আফগানিস্তান। রান তাড়ায় নির্ধারিত ওভারে তাদের অর্ধেক, অর্থাৎ ৯৪ রানে থামে হংকং।
এশিয়া কাপে এ নিয়ে হংকংয়ের বিপক্ষে দু’বারই জয় তুলে নিল আফগানরা। এর আগে ২০১৬তে মিরপুরে হংকংকে ৬৬ রান হারায় তারা। জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামে আফগানিস্তান। প্রথম বলে চার মেরে শুরু করা সেদিকুল্লাহ আতাল স্লিপে জীবন পান সে ওভারেই। আফগান ওপেনার বেঁচে যান আরও দু’বার। দু’বারই তার ক্যাচ ছাড়েন হংকং অধিনায়ক ইয়াসিম মুর্তজা, আর একবার ক্যাচ মিস হয় তার বোলিংয়ে। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ব্যাটার হিসেবে আতাল মাঠ ছাড়েন ৫২ বলে ৭২ রানের ইনিংসে। হজরতউলাহ জাজাই ও মোহাম্মদ শাহজাদের পর তৃতীয় আফগান ওপেনার হিসেবে পুরো ২০ ওভার খেলেন তিনি।
এর আগে পাওয়ারপ্লেতে রহমানউল্লাহ গুরবার ও ইব্রাহিম জাদরানকে ফিরিয়ে দারুণ কিছুর আভাস দেয় হংকং। তবে মোহাম্মদ নবীর সঙ্গে আতালের ৫১ রানের জুটিতে পরিস্থিতি সামলে নেন আতাল। নবীর (৩৩) পর গুলবাদিন নাইবও (৫) দ্রুত ফিরে গেলে ক্রিজে আসেন ওমরজাই। ইনিংসের ১৯তম ওভারে টানা তিন ছক্কা হাঁকিয়ে ২০ বলে ফিফটি পূরণ করেন তিনি। আন্তর্জতিক টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের দ্রুততম ফিফটির মালিক এখন ওমরজাই, ভাঙে ২০১৭তে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে নবীর ২১ বলে ফিফটির রেকর্ড। ওমরজাই ফেরেন পরের বলেই, ২১ বলে ৫৩ রান করে। হংকংয়ের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন আয়ুশ শুক্লা ও কিঞ্চিৎ শাহ।
রান তাড়ায় পাওয়ার প্লেতে ২২ রান করতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় হংকং। দলের কেবল দু’জন ব্যাটাররই ছুঁতে পারেন দুই অঙ্কের রান, তিনে নামা বাবর হায়াত (৩৯) ও সাতে নামা অধিনায়ক ইয়াসিম (১৬)। আফগানদের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন ফজলহক ফারুকি ও গুলবাদিন নাইব। ম্যাচের পর আফগানিস্তান অধিনায়ক দুইগাল হেসে নিয়ে বলেন, ‘আমাদের দলে এত বেশি বোলিং অপশন আছে যে, মাঝেমধ্যে বুঝতেই পারি না, কখন কে বল করেছে। তাই আমার নিজের দুই ওভার বোলিং করতেই ভুলে গেছিলাম।’ এর ফলে সুবিধাও উল্লেখ করে রশিদ আরও বলেন, ‘এত ভালো স্পিনার আর বোলারদের নিয়ে দল সাজানো একদিকে যেমন চ্যালেঞ্জ, অন্যদিকে তেমনই এটি আমার জন্য সুবিধাজনক। এতে দলের নেতৃত্ব দেয়া অনেক সহজ হয়ে যায়।’
নিজেদের পরের ম্যাচে আগামী ১৬ই সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের সঙ্গে খেলবে আফগানিস্তান।