সিলেটে আলী আমজদের ঘড়িঘর চত্বর থেকে সরানো হবে ‘জুলাই স্মৃতিফলক’
সিলেটের ১৫১ বছরের ঐতিহ্যবাহী আলী আমজদের ঘড়িঘর চত্বর এলাকা থেকে জুলাই শহীদদের স্মরণে নির্মিতব্য ‘জুলাই স্মৃতিফলক’ সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সিলেট জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম সিলেটের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করে এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছান।
সম্প্রতি সিলেটের ঐতিহ্যবাহী আলী আমজদের ঘড়িঘর চত্বর এলাকায় ‘জুলাই স্মৃতিফলক’ নির্মাণকাজ শুরু হয়। এতে ঘড়ির অংশবিশেষ আড়াল করে জুলাই শহীদদের স্মরণে স্মৃতিফলক নির্মাণ নিয়ে সমালোচনা হয়। সমালোচনা হলে গত ২৫ আগস্ট থেকে স্মৃতিফলকের নির্মাণকাজ স্থগিত করে সিটি করপোরেশন। সে সময় সিলেট জেলা প্রশাসকের কাছে বেশ কয়েকটি সংগঠন স্মৃতিফলকটি অন্যত্র স্থাপনের জন্য স্মারকলিপিও দেয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বৈঠক ডেকেছিলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক। বৈঠকে শহীদ পরিবারের সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, ছাত্র-জনতা, পরিবেশ ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, স্মৃতিফলক আলী আমজদের ঘড়িঘর চত্বর থেকে সরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি ওই এলাকা পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন রাখা ও সৌন্দর্যবর্ধন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিনব্রিজ এলাকা থেকে ট্রাকসহ অন্যান্য স্ট্যান্ড সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তে একমত হয়েছেন বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা।
জুলাই শহীদদের স্মরণে নগরের বিভিন্ন স্থানে আলাদাভাবে ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কিনব্রিজ এলাকায় মো. পাবেল আহমদ ও পঙ্কজ কুমারের স্মৃতিফলক নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিলেটে শহীদ সাংবাদিক এ টি এম তুরাব এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুদ্র সেনের স্মৃতিফলক নির্মাণের কাজ সিটি করপোরেশন বাস্তবায়ন করছে বলে সভায় জানানো হয়।