জিগার গাছ, আঠা ও লজ্জাবতী বানর। ছবি : কালবেলা

লজ্জাবতী বানরের প্রধান খাদ্য জিগার গাছের আঠা!

জিগার গাছের আঠা লজ্জাবতী বানরের প্রধান খাদ্য। হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে ১০০-১৫০ জিগার গাছ রয়েছে। যা বনে থাকা শতাধিক লজ্জাবতী বানরের খাবারের যোগানদাতা এসব গাছের আঠা।

এমন তথ্য জানিয়েছেন সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের বন্যপ্রাণী বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ ও স্থানীয়রা। সাতছড়ির এসব গাছ ও লজ্জাবতীর বানরের এমন সংখ্যাও নিশ্চিত করেছে স্থানীয় বন বিভাগ।

মামুনুর রশিদ বলেন, জিগার গাছে আঠাতে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, ভিটামিন ও হাইড্রোকার্বন থাকে, যা লজ্জাবতী বানরের প্রধান খাদ্য। তাই গাছটি অত্যন্ত উপকারী বন্যপ্রাণীর জন্যে। এসব গাছ বাড়ানোর জন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপও গ্রহণ করছি।

পাখি প্রেমিক সোসাইটির যুগ্ম আহ্বায়ক বিশ্বজিৎ পাল বলেন, বন্যপ্রাণীর জন্য উপকারী এই জিগার গাছের আঠা। এসব গাছ সরকারিভাবে আরো রোপণ করা উচিত।

আরও জানা যায়, ‘জিগার’ গাছ। অন্য নাম জিকা/জিগা গাছ। বৈজ্ঞানিক নাম Lannea coromandelica. ঢাকার ধানমন্ডির ‘জিগাতলা’ এই গাছের নাম থেকেই এসেছে। কারণ এক সময় এখানে প্রচুর ‘জিগা’ গাছ ছিল। এই গাছ খাল-পাড় বা পরিত্যক্ত জমিতে অযত্ন-অবহেলায় বেড়ে উঠতে পারে। তেমন কোনো পরিচর্যা করা লাগে না।

এমনকি গাছ কেটে ফেললেও সামান্য বৃষ্টির পানিতে প্রাণবন্ত হয়ে পাতা গজিয়ে অল্পদিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ গাছ হিসেবে দাঁড়িয়ে যায়। এই গাছের কাণ্ডে ক্ষত করে দিলে সেখান থেকে ঘন জেলির মতো আঠা বের হয়।

বেশিদিন আগের কথা নয়, ২০১০ সালের দিকেও দেশের বিভিন্ন পোস্ট অফিসে এই আঠা ব্যাপক-ভাবে ব্যবহার করা হতো। ঔষধি উদ্ভিদ হিসেবেও এই গাছের ব্যবহার রয়েছে। গাছের বাকল বা ছাল (Bark) আমাশয় ও জন্ডিস রোগের মহৌষধ।