তাহিরপুরে চোরাই কয়লা জব্দ, গ্রেফতার ৩

তাহিরপুরে চোরাই কয়লা জব্দ, গ্রেফতার ৩

শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে চোরাচালানের কয়লা নিয়ে যাবার পথে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বিএনপি নেতার এক ছেলে, যুবদল নেতার এক ভাগ্নেসহ তিন চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সুনামগঞ্জের মধ্যনগরের হাওর পথে চোরাচালানের ৩২০ বস্তা কয়লা, একটি ষ্টিল বডি (ইঞ্জিন) ট্রলার জব্দকালীন চোরাচালানের কয়লা বোঝাই ওই ট্রলার থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- তাহিরপুরের উওর শ্রীপুর ইউনিয়নের সীামান্তগ্রাম সংসার পাড়ের (চারাগাঁও) লায়েছ মিয়ার ছেলে রাশিদ মিয়া, একই গ্রামের হরমুজ আলীর ছেলে খুর্শিদ আলম, কলাগাঁও সীমান্ত গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে দ্বীন ইসলাম।

গ্রেফতার রাশিদ তাহিরপুরের উওর শ্রীপুর ইউনিয়ন বিএনপির নব গঠিত আহ্বায়ক কমিটির সদ্য সাবেক আহ্বায়ক লায়েছের ছেলে, খুর্শিদ, চোরাকারবারিদের সোর্স উওর শ্রীপুর ইউনিয়ন যুবদল নেতা দাবিদার সংসার পাড় (চারাগাও) সীমান্ত গ্রামের হাবিবুর রহমান হাবি (মামলার আসামির) আপন ভাগ্নে।

বৃহস্পতিবার রাতে মধ্যনগর থানার ওসি মনিবুর রহমান কয়লা চোরাকারবারিদের গ্রেফতার ও মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মত তাহিরপুরের চারাগাঁও কলাগাঁও সীমান্তের ওপারে ভারত থেকে নিয়ে আসা চোরাচালানের কয়লা বোঝাই ট্রলার করে নেত্রকোনার কলমাকান্দা নিয়ে যাচ্ছিল একদল চোরাকারবারি।

এরপর খবর পেয়ে মধ্যনগর থানা পুলিশ নৌ পথে অভিযান চালিয়ে চোরাচালানের কয়লা বোঝাই ট্রলারসহ রাশিদ, খুর্শিদ, দ্বীন ইসলাম এই তিন চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করে।

অভিযোগ রয়েছে, তাহিরপুরের চারাগাঁও শুল্ক স্টেশনে কয়েকবছর পূর্বের এলসিকৃত কয়লার ভুয়া চালানপত্র, মিনিপাস, সমিতির চালানপত্রকে ঢাল বানিয়ে তাহিরপুর থানার ওসি দেলোয়ার, ট্যাকেরঘাট পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ অফিসার যখন যে ছিলেন, বিজিবির কিছু অসৎ সদস্যকে ম্যানেজ করে ওইসব চোরাচালানের কয়লা ইউনিয়ন বিএনপির নব গঠিত আহ্বায়ক কমিটির সদ্য সাবেক আহ্বায়ক লায়েছের ছেলে চাঁন মিয়া সহওদাগর, চোরাকারবারিদের সোর্স ইউনিয়ন যুবদল নেতা দাবিদার হাবিবুর রহমান হাবি (মামলার আসামি), সৈনিক লীগ নেতা দাবিদার আনোয়ার হোসেন (মামলার আসামি) তার সহোদর সোহাগ, নওমুসলিম দিপক (মামলার আসামি), ট্যাবলেট সোহেল, সফিকুল ইসলাম ভৈরব্যা (মামলার আসামি), মৃত মিজান মহালদারের ছেলে ছিলা সাইফুল, আওয়াল চক্র প্রতি ট্রলার বোঝাই চোরাচালানের কয়লার সড়িয়ে নেয়ার বিপরীতে ৭০ থেকে ১ লাখ টাকা চাঁদা নিয়ে নির্বিঘ্নে সোর্স হিসাবে চাঁদাবাজি করেছে।

প্রতিদিনের মতো বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার ভোররাত পর্যন্ত দুই থেকে তিন কোটি টাকার চোরাচালানের কয়লা বোঝাই ১৫ থেকে ১৬ ট্রলার তাহিরপুরের চারাগাঁও, কলাগাঁও ছড়া নদী, বালিয়াঘাটের লালঘাট পশ্চিমপাড়া, শ্রীপুরের পাটলাই নদী, সংসারপাড় থেকে ছেড়ে যায় নেত্রকোনার কলামাকান্দার উদ্দেশ্য।

এসব চোরাচালানের কয়লা বোঝাই ট্রলার আটক করতে নারাজ তাহিরপুর থানা, ট্যাকেরঘাট পুলিশ ক্যাম্প, বিজিবির চারাগাও-বালিয়াঘাট বিওপি, নৌ পুলিশের দায়িত্বশীলরা।

তাহিরপুর থানার ট্যাকেরঘাট অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই মোহাম্মদ আলী বললেন, থানা কিংবা ট্যাকেরঘাট পুলিশ ক্যাম্পের কোনো সদস্য কয়লা চোরাচালানের চাঁদাবাজ চক্রের সঙ্গে জড়িত না।