বছরে এখন প্রায় ৬-৭ মাসই থাকে গ্রীষ্ম। অন্যান্য ঋতুতেও আবহাওয়া থাকে গরম। গরমের হাত থেকে স্বস্তি পেতে এয়ার কন্ডিশনার বা এসি এখন বলা যায় ঘরের একেবারে জরুরি একটি ইলেকট্রনিক পণ্য। শুধু গরমে স্বস্তি পেতে নয়, এসি ব্যবহারবর্ষায় ঘরের আদ্রতা ঠিক রেখে স্বস্তির পরিবেশ পেতেও।
তবে এসি ব্যবহারে মাস শেষে বিদ্যুৎ বিল খানিকটা কপালে ভাঁজ ফেলে বৈকি! অনেকেই মনে করেন পুরোনো এসিতে বিদ্যুৎ খরচ বেশি, নতুন এসিতে তা কিছুটা কম। এজন্য অনেকেই কিছু বছর পর পর পুরোনো এসি বদলে নতুন এসি কেনেন ঘরের জন্য।
এ কথা কিন্তু ঠিক নতুন এসিতে পুরোনো এসির তুলনায় বিদ্যুৎ খরচ কম। সাধারণত নতুন এসিতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী প্রযুক্তি থাকার কারণে পুরোনো এসির চেয়ে বিদ্যুৎ খরচ কম হয়। নতুন এসিতে ইনভার্টার প্রযুক্তি এবং এনার্জি স্টার রেটিংয়ের মতো বৈশিষ্ট্য থাকে, যা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সাহায্য করে।
অন্যদিকে এসি পুরোনো হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাতে থাকা কম্প্রেসর, মোটর এবং কয়েলের মতো যন্ত্রাংশের কাজের গতিও ধীর হয়ে আসতে থাকে। যার জেরে ঘর ঠান্ডা করতেও যথেষ্ট বেগ পেতে হয় পুরোনো এসিকে। অর্থাৎ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চাপ বাড়ে এসির উপর। ফলে বিদ্যুতের অপচয়ও বৃদ্ধি পেতে থাকে।
কী কী কারণে নতুন এসিতে বিদ্যুৎ খরচ কম হয় আসুন জেনে নেওয়া যাক-
পুরোনো এসিতে একটি নির্দিষ্ট গতিতে কম্প্রেসার চলত, যা সবসময় একই পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করত। কিন্তু ইনভার্টার এসিতে কম্প্রেসরের গতি প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়, ফলে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়।
এসি কেনার সময় এনার্জি স্টার রেটিং দেখা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ৫ স্টার রেটিং মানে হলো সেই এসিটি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে বেশি উপযোগী।
নতুন এসিতে একটি সেন্সর থাকে যা ঘরের তাপমাত্রা অনুযায়ী কাজ করে। তাপমাত্রা নির্দিষ্ট মাত্রায় এলে এসিটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায় বা গতি কমিয়ে দেয়, যা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সাহায্য করে।
নতুন এসিতে টাইমার এবং স্লিপ মোড অপশন থাকে, যা ব্যবহারকারীকে তার প্রয়োজন অনুযায়ী এসিটি ব্যবহার করতে দেয় এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন