কমনওয়েলথ গেমসে মো. মাহ্দিউল আলম সিয়ামছবি: সিয়ামের সৌজন্যে

কমনওয়েলথ মঞ্চে বাংলাদেশি গেমার

২০২২ সালে যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ ই-স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের হয়ে অংশ নেন মো. মাহ্দিউল আলম সিয়াম। প্রতিযোগিতায় ২৫টিরও বেশি দেশের খেলোয়াড় অংশ নেন। সেখানে বাংলাদেশ থেকে একমাত্র প্রতিনিধি ছিলেন তিনি।

কমনওয়েলথ ই-স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ চার বছর অন্তর কমনওয়েলথ গেমসের সঙ্গে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়। ২০২২ সালের আসরে তিনটি ইভেন্ট ছিল ডোটা ২, ই-ফুটবল ও রকেট লিগ। সিয়াম অংশ নেন কোনামির ই-ফুটবল ইভেন্টে। জাতীয় বাছাইপর্বে বাংলাদেশ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে তিনি নটিংহ্যামে প্রিলিমিনারি রাউন্ডে খেলার সুযোগ পান। তাঁর গ্রুপে ছিল স্কটল্যান্ড, মাল্টা ও নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড। এ আসরে মালয়েশিয়া চ্যাম্পিয়ন এবং স্কটল্যান্ড রানারআপ হয়।

সিয়ামের গেমিং যাত্রা শুরু ১৯৯৭ সালে। তবে প্রতিযোগিতামূলক গেমিংয়ের সঙ্গে যুক্ত হন ২০০৭ সালে, যখন একটি পত্রিকায় এ বিষয়ে জানতে পারেন। এরপর নিয়মিত বিভিন্ন গেমিং প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। তিনি বলেন, ‘ই-স্পোর্টস বাংলাদেশের সিইও সুমিত সাহার সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ের জন্য বিশেষ প্রস্তুতি নেই। দীর্ঘদিনের অনুশীলন ও অভিজ্ঞতাই সাফল্যের মূল কারণ।’

বাংলাদেশে গেমিং এখনো মূলধারার পেশা হয়ে ওঠেনি। তবে তরুণদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহে সিয়াম আশাবাদী। সম্প্রতি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন প্রথমবারের মতো ফিফা ই-ওয়ার্ল্ড কাপের আঞ্চলিক বাছাইপর্বের উদ্যোগ নিয়েছে, যা দেশীয় গেমারদের জন্য বড় সুযোগ হয়ে উঠতে পারে। তাঁর মতে, ই-স্পোর্টস শুধু বিনোদন নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্যারিয়ার গড়ারও মাধ্যম। খেলার পাশাপাশি এখানে কোচ, বিশ্লেষক কিংবা ধারাভাষ্যকার হিসেবেও কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

সিয়ামের বিশ্বাস, নিয়মিত অনুশীলন ও প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা থাকলে বাংলাদেশি গেমাররা বৈশ্বিক পর্যায়ে সফল হতে পারবেন। বর্তমানে তিনি একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে টেক্সটাইল প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত থাকলেও গেমিং তাঁর শখ ও নেশার জায়গা হয়ে আছে।