ডিজিটাল দুনিয়ায় সারাক্ষণ আপনার বিচরণ। সারাক্ষণ সোশ্যাল মিডিয়ায় বুঁদ হয়ে থাকছেন। কখনোবা ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন বিভিন্ন কাছে। কিন্তু জানেন কি? এই ডিজিটাল দুনিয়ায় কিন্তু আপনি আমি কেউ নিরাপদ নই। আমাদের কোনো তথ্যই গোপন থাকছে না এখানে।
কখন কার সঙ্গে কী কথা বলেছেন, কাকে কী ই-মেইল পাঠান, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম কী করছেন, কোথায় যাচ্ছেন কার সঙ্গে দেখা করছেন, কী দেখছেন, কী খুঁজছেন, আপনার বাড়ি, অফিস, শিশু স্কুল, সব গন্তব্যের খবর জানে ইন্টারনেট।
আপনার ফোনে থাকা বিভিন্ন অ্যাপ এসব তথ্য সেভ করে রাখছে। বিক্রি করছে ডার্ক ওয়েবে। কখনো কখনো ব্যবহারকারী প্রতারণা, ব্ল্যাকমেইলের শিকার হচ্ছেন এসব তথ্যের মাধ্যমে। তাহলে এখন প্রশ্ন হচ্ছে কীভাবে নিরাপদ থাকবেন ডিজিটাল দুনিয়ায়।
১. পাসওয়ার্ড দিয়ে ফোন বা কম্পিউটার সব সময় লক করে রাখুন।
২. সুযোগ থাকলে ফোনে পাসওয়ার্ড ও ফিঙ্গার প্রিন্ট লক-দুটোই ব্যবহার করুন।
৩. তথ্য সুরক্ষায় অন্তত ১৪ ডিজিটের শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন এবং নির্দিষ্ট সময় পরপর তা পরিবর্তন করুন।
৪. পাসওয়ার্ড কখনো কোথাও লিখে রাখবেন না।
৫. পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহারের সময় ভিপিএন ব্যবহার করুন।
৬. আপনার ডিভাইসে এনক্রিপশন চালু রাখুন, যেন আপনার ডাটা চুরি হলেও তার অর্থ কেউ না বোঝে।
৭. প্রাত্যহিক জীবন সম্পর্কে বাইরের কেউ ধারণা পায়, এমন তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
৮. ডিজিটাল মাধ্যমে একান্ত ব্যক্তিগত ছবি শেয়ার করা বা আপলোড করার বিষয়ে সতর্ক থাকুন।
৯. যেখানে যাচ্ছেন, সেখানেই চেক-ইন দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
১০. অস্থায়ী বা একবার সাইন-ইন করার জন্য ডিসপোজেবল ই-মেইল ( temp-mail.org ) ব্যবহার করুন।
১১. কোনো লিংক শেয়ার করার সময় ডিফ্যাং বা নিষ্ক্রিয় করে শেয়ার করুন।
১২. ই-মেইলের জন্য জটিল পাসওয়ার্ডের সঙ্গে টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ব্যবহার করুন।
১৩. ব্যবহৃত ব্রাউজার আপডেট রাখুন এবং ‘ডু নট ট্র্যাক’ অপশন বা ‘ইনকগনিটো মোড’ ব্যবহার করুন।
১৪. সেলফোনে যথাসম্ভব কম তথ্য সংরক্ষণ করুন, যেন ফোন হাতছাড়া হলেও হয়রানির শিকার না হন।
১৫. রিমোট ওয়াইপ সেট করুন, যেন ডিভাইস হারিয়ে গেলে অন্য ডিভাইস থেকে আপনি হারানো ডিভাইসের সব তথ্য মুছে দিতে পারেন।
১৬. সাইবার নিরাপত্তায় নতুনত্ব সম্পর্কে প্রতিনিয়ত জানার চেষ্টা করুন
সূত্র: হাইজিন ফ্লিপবুকস