সরকার ভোজ্যতেলের দাম লিটারে নির্ধারণ করলেও বাজারে তা কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। বাজার পরিদর্শন করে এমন তথ্য পেয়েছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। সংস্থাটি তাদের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরে ভোজ্যতেল লিটারে বিক্রি নিশ্চিত করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে।
ট্যারিফ কমিশনের পক্ষ থেকে আজ সোমবার প্রকাশিত ভোজ্যতেলের বাজারদরসংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে এমন সুপারিশ তুলে ধরেছে সংস্থাটি। রাজধানীর কারওয়ান বাজার পরিদর্শন করে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়েছে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রতিবেদনের একটি কপি বাণিজ্য উপদেষ্টা বরাবরে পাঠানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩ আগস্ট বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে তেলের দাম নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যসোসিয়েশন। সেখানে লিটারে দাম নির্ধারণ করা হলেও বাজারে খোলা সয়াবিন ও পাম তেল বিক্রি হচ্ছে কেজিতে। যদিও পণ্য পরিবেশক নিয়োগ আদেশে তরল পদার্থ পরিমাপে লিটারে হিসাব করার কথা উল্লেখ আছে। কিন্তু বাজারজাতকরণে তা মানা হচ্ছে না। তা ছাড়া খোলা পাম তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৫০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বাজারে নির্ধারিত দামের চেয়ে লিটারে ৫ টাকা বেশি রাখা হচ্ছে। বাড়তি এই দাম নিরুৎসাহিত করা প্রয়োজন বলে মনে করছে কমিশন।
অতিরিক্ত দামে ভোজ্যতেল বিক্রি ঠেকাতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে মাঠপর্যায়ে তৎপরতা পরিচালনার নির্দেশনা প্রদানের সুপারিশ করা হয় ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদনে। পাশাপাশি মিলগেট, পাইকারি ও খুচরা মূল্য মনিটরিং কার্যক্রম জোরদারের পরামর্শও দেওয়া হয়।