Advertisement

যুক্তরাষ্ট্রের সেরা ১০ ধনী নারী কারা, তাঁদের কী ব্যবসা

প্রথম আলো

প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

24obnd

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪০০ জন ধনী ব্যক্তির তালিকায় আছেন মাত্র ৬২ জন নারী—মাত্র ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ। গত বছর এই তালিকায় ছিলেন ৬৭ জন নারী, অর্থাৎ প্রায় ১৭ শতাংশ। ২০১৯ সালের পর এবারই প্রথম, যখন তালিকায় নারীর উপস্থিতি বাড়েনি। অর্থাৎ নারী–পুরুষের ব্যবধান পৃথিবীর সব খানেই— ধনী–গরিব নির্বিশেষে।

যুক্তরাষ্ট্রের অতিধনী ৬২ নারীর সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৭২ বিলিয়ন বা ৮৭ হাজার ২০০ কোটি ডলার। এক বছর আগে এর পরিমাণ ছিল ৮৩৯ বিলিয়ন বা ৮৩ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। এই হিসাব প্রকাশ করেছে মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস।

দেখে নেওয়া যাক, ফোর্বস ম্যাগাজিনের হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ১০ নারী ধনী কারা। ২০২৫ সালের ১ সেপ্টেম্বরের হিসাবে এই তালিকা করা হয়েছে।

১০৬ বিলিয়ন ডলার। সম্পদের প্রধান উৎস: ওয়ালমার্ট। বয়স: ৭৫ বছর।

সবচেয়ে ধনী নারী অ্যালিস ওয়ালটন। টানা এক দশকে ৯ বার তিনি শীর্ষ ধনী নারীর তালিকা ছিলেন। অ্যালিস ওয়ালটনের সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১০৬ বিলিয়ন বা ১০ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। ফলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ১৫তম ধনী ব্যক্তি এবং আমেরিকার প্রথম নারী ‘সেন্টিবিলিয়নিয়ার’ (অর্থাৎ যাঁর সম্পদের হিসাব ১২ অঙ্কের)। গত বছর তিনি ফ্রান্সের কোম্পানি লরিয়েলের উত্তরাধিকারী ফ্রাঁসোয়াজ বেটেনকোর্ট মেয়ার্সকে টপকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী হন।

৮১.২ বিলিয়ন ডলার। সম্পদের প্রধান উৎস: কচ ইনকরপোরেটেড । বয়স: ৬৩ বছর।

যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী নারী হিসেবে জায়গা ধরে রেখেছেন জুলিয়া কচ। তাঁর স্বামী ডেভিড কচ মারা যাওয়ার পর তিনি কক ইনকরপোরেটেড কনগ্লোমারেটের ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন। চলতি সেপ্টেম্বর মাসেই তিনি ও তাঁর সন্তানেরা এনএফএল দলের নিউইয়র্ক জায়ান্টসের একটি শেয়ার কেনার চুক্তি করেছেন।

৪২.২ বিলিয়ন ডলার। সম্পদের উৎস: চকলেট ও পোষা প্রাণীর খাবার। বয়স: ৮৫ বছর।

জ্যাকুলিন মার্স যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় শীর্ষ ধনী। তিনি মার্স ইনকরপোরেটেডের উত্তরাধিকারী। এমঅ্যান্ডএমস, স্নিকার্স, পেডিগ্রির মতো ব্র্যান্ডের মালিক এই কোম্পানি বিশ্বের শীর্ষ কনফেকশনারি ও পোষা প্রাণীর খাবার প্রস্তুতকারক কোম্পানি। প্রতিষ্ঠাতা ফ্র্যাঙ্ক সি মার্সের নাতনি জ্যাকুলিন বর্তমানে কোম্পানির এক-তৃতীয়াংশ শেয়ারের মালিক এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী নারী।

৩৭.৯ বিলিয়ন ডলার। সম্পদের উৎস: ক্যাসিনো ব্যবসা। বয়স: ৭৯ বছর।

মিরিয়াম অ্যাডেলসন যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্থ শীর্ষ ধনী নারী। তিনি লাস ভেগাস স্যান্ডস করপোরেশনের প্রধান শেয়ারধারী। প্রয়াত স্বামী শেলডন অ্যাডেলসনের ব্যবসায়িক উত্তরাধিকার হিসেবে এসব সম্পদ পেয়েছেন তিনি। তাঁর সম্পদের উৎস ক্যাসিনো ও রিসোর্ট ব্যবসা। চিকিৎসক ও দাতব্যকর্মী মিরিয়াম অ্যাডেলসন মাদকাসক্তি চিকিৎসা গবেষণায় সহায়তার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত।

৩৫ বিলিয়ন ডলার। সম্পদের উৎস: বিনিয়োগ। বয়স: ৬৩ বছর।

যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম শীর্ষ নারী এই ধনী প্রখ্যাত ব্যবসায়ী ও ফিডেলিটি ইনভেস্টমেন্টসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি পরিবারের উত্তরাধিকার সূত্রে শেয়ার পেয়েছেন। জনসন বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা ও আর্থিক পরিষেবায় দক্ষতার জন্য পরিচিত। তাঁর নেতৃত্বে ফিডেলিটি বিশ্বব্যাপী শীর্ষস্থানীয় বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

৩৩.৯ বিলিয়ন ডলার। সম্পদের উৎস: অ্যামাজন। বয়স: ৫৫ বছর।

যুক্তরাষ্ট্রের ষষ্ঠ শীর্ষ ধনী এই নারী অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর বিপুল সম্পদের মালিক হন। মূলত দাতব্য কাজে সক্রিয় এই নারী শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক ন্যায়ের ক্ষেত্রে কোটি কোটি ডলার অনুদান দিয়ে মানুষের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।

৩২.৫ বিলিয়ন ডলার। সম্পদের উৎস: হেজ ফান্ড। বয়স: ৭৪ বছর।

যুক্তরাষ্ট্রের এই সপ্তম শীর্ষ নারী ধনী স্বামী জেরি সিমন্সের সঙ্গে এসজেএল সিমন্স করপোরেশনের মালিক। পরিবারটি বিনিয়োগ ও বিনোদন ব্যবসায় সক্রিয়। ম্যারিলিন সিমন্স দাতব্য ও শিক্ষাক্ষেত্রেও ভূমিকা পালন করছেন। সমাজে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তারের জন্য তিনি পরিচিত।

৩০.৯ বিলিয়ন ডলার। সম্পদের উৎস: কক ইনকরপোরেটেড। বয়স: ৮৩ বছর।

যুক্তরাষ্ট্রের এই অষ্টম শীর্ষ নারী ও তাঁর পরিবার যুক্তরাষ্ট্রের ধনী ব্যবসায়ী। তিনি পিঞ্চার গ্রুপের উত্তরাধিকারী। পরিবারের ব্যবসা ও বিনিয়োগ পরিচালনায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন তিনি। শিক্ষাক্ষেত্র ও দাতব্য কাজে তাঁর অবদান সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। সে জন্য তিনি বিশেষভাবে পরিচিত।

২৯ বিলিয়ন ডলার। সম্পদের উৎস: মাইক্রোসফট, বিনিয়োগ। বয়স: ৬১ বছর।

যুক্তরাষ্ট্রের এই নবম শীর্ষ নারী ধনী দাতব্য কাজে বিশ্বখ্যাত। মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর তিনি বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দাতব্য কাজে সক্রিয়। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বৈশ্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোটি কোটি ডলার অনুদান দিয়ে তিনি সমাজে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করছেন।

২৭.৪ বিলিয়ন ডলার। সম্পদের উৎস: তেল ও গ্যাস। বয়স: ৫০ বছর।

যুক্তরাষ্ট্রের দশম শীর্ষ এই নারী ধনী ও তাঁর পরিবার ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত। তিনি ২০১৩ সালে বাবার প্রতিষ্ঠিত এন্ডেভার এনার্জি রিসোর্সেসের পর্ষদে যোগ দেন এবং ২০২৪ সালে বাবার মৃত্যুর পর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন

Lading . . .