Advertisement

চ্যাটজিপিটির ভুলে চাকরি হারানোর শঙ্কায় এক তরুণী

প্রথম আলো

প্রকাশ: ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

চ্যাটজিপিটির কারণে কর্মক্ষেত্রে বিপাকে পড়েছেন এক তরুণীরয়টার্স
চ্যাটজিপিটির কারণে কর্মক্ষেত্রে বিপাকে পড়েছেন এক তরুণীরয়টার্স

ওপেনএআইয়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি দৈনন্দিন নানা কাজে ব্যবহার করছেন অনেকেই। কেউ আবার কর্মক্ষেত্রের বিভিন্ন কাজ চ্যাটজিপিটির সহায়তায় করে থাকেন। চ্যাটজিপিটির প্রতি অতিরিক্ত এ নির্ভরতা কখনো কখনো মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে। সম্প্রতি চ্যাটজিপিটির দেওয়া ভুল তথ্যের কারণে কর্মক্ষেত্রে বিপাকে পড়েছেন এক তরুণী। চাকরি হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন তিনি।

জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘রেডিট’-এ একজন ব্যবহারকারী জানান, তাঁর প্রেমিকা একটি প্রতিষ্ঠানের বিপণন ও গ্রাহক জরিপের কাজ করেন। অফিসের গুরুত্বপূর্ণ এক উপস্থাপনায় তিনি চ্যাটজিপিটি থেকে পাওয়া তথ্য ও বিশ্লেষণ সরাসরি ক্রেতার সামনে তুলে ধরেন। কিন্তু সেখানে গুরুতর ভুল ধরা পড়ায় তিনি চাকরি হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন। প্রেমিকার চাকরি বাঁচাতে করণীয় জানতে ওই ব্যক্তি রেডিট ব্যবহারকারীদের কাছে প্রশ্ন রাখেন, ‘আমরা কীভাবে ওর চাকরি বাঁচাতে পারি?’

রেডিটের পোস্টে বলা হয়, তরুণীটি প্রথমে চ্যাটজিপিটি দিয়ে গ্রাহক জরিপের প্রশ্নমালা তৈরি করেছিলেন। পরে উত্তর বিশ্লেষণেও এআই টুলের সহায়তা নেন। জরিপের তথ্য এক্সেল ফাইলে আপলোড করে এআই দিয়ে তৈরি আউটপুট ডাউনলোড করেন এবং তা প্রতিবেদন আকারে উপস্থাপন করেন। সমস্যার সূত্রপাত ঘটে উপস্থাপনার সময়, যখন তিনি ‘পিয়ারসনের কোরিলেশন কোএফিশিয়েন্ট’ ব্যবহার করে তৈরি ফলাফল দেখান। কিন্তু জরিপের উত্তরগুলো ছিল পুরোপুরি টেক্সটভিত্তিক। সেগুলো কেবল পাঁচ ধরনের ‘ফিলিং’ শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছিল। এ ধরনের তথ্য পরিসংখ্যানগত বিশ্লেষণের জন্য উপযুক্ত নয়। চ্যাটজিপিটি উত্তরগুলোকে সংখ্যায় রূপ দেওয়ার চেষ্টা করলেও প্রক্রিয়ার ব্যাখ্যা দিতে বা হিসাবের খুঁটিনাটি উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়। এর ফলে ক্রেতার সামনে প্রদর্শিত ফলাফল হয়ে ওঠে অগ্রহণযোগ্য ও ত্রুটিপূর্ণ।

চ্যাটজিপিটির দেওয়া ভুল পরামর্শে সমস্যায় পড়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। সম্প্রতি চ্যাটজিপিটির পরামর্শ মানতে গিয়ে সঙ্গীসহ বিমানে উঠতে পারেননি মেরি ক্যালডাস নামের স্পেনের এক তরুণী।

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, এআই টুল খসড়া লেখা বা প্রাথমিক ধারণা তৈরিতে কার্যকর হলেও সরাসরি ব্যবহার করলে ভুল বা মনগড়া তথ্য চলে আসতে পারে। যাচাই–বাছাই ছাড়া এসব ফলাফল ক্রেতাদের সামনে উপস্থাপন বা অফিশিয়াল কাজে ব্যবহার করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

সূত্র: নিউজ১৮

Lading . . .