তরুণদের দক্ষতা বাড়াতে এআই–বিষয়ক প্রশিক্ষণ দিচ্ছে গ্রামীণফোন একাডেমি
প্রকাশ: ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বর্তমান ডিজিটাল যুগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। আর তাই বিভিন্ন এআই টুল ব্যবহারের মাধ্যমে তরুণদের চাকরির বাজারে এগিয়ে রাখতে অনলাইনে এআই–বিষয়ক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করেছে গ্রামীণফোন একাডেমি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার রাজধানীর বসুন্ধরার জিপি হাউসে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘ক্যারিয়ার উইথ এআই’ শীর্ষক কর্মশালা। এআই কীভাবে তরুণদের ভবিষ্যৎ পেশাগত জীবনে সুযোগ তৈরি করতে পারে, তা কর্মশালায় তুলে ধরেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক কাজী তাফসিরুল ইসলাম। বক্তব্য দেন গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার তানভীর মোহাম্মদ এবং এনভায়রনমেন্ট, সোশ্যাল ও গভর্ন্যান্স বিভাগের প্রধান ফারহানা ইসলাম। কর্মশালায় ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৩০ শিক্ষার্থী অংশ নেন।
কর্মশালায় কাজী তাফসিরুল ইসলাম বলেন, এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং স্বাস্থ্য ও শিক্ষা থেকে শুরু করে সৃজনশীল সব পেশায় এআইয়ের ব্যবহার বেড়েছে। এআই প্রযুক্তির বিকাশ ঘটছে দ্রুততার সঙ্গে। আর তাই শিক্ষার্থীদের নতুন নতুন সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে বিভিন্ন এআই টুল। এআই ব্যবহার করে পড়াশোনা থেকে শুরু করে লিংকডইন ও পারসোনাল ব্র্যান্ড তৈরির জন্য শিক্ষার্থীদের সামনে অনেক সুযোগ তৈরি হয়েছে। আর তাই শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইনে ক্যারিয়ার উইথ এআই কোর্স চালু করেছে গ্রামীণফোন একাডেমি। এই কোর্সের মাধ্যমে বিভিন্ন এআই টুল ব্যবহার করে পেশাগত জীবনে চমক আনতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
কর্মশালায় অংশ নিয়ে আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘আমি এত দিন এআইকে শুধু একটি প্রযুক্তি হিসেবেই জানতাম। এই কর্মশালা থেকে পেশা ও দক্ষতা বিকাশে এআই কীভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তা জানার সুযোগ পেয়েছি।’ গ্রামীণফোন একাডেমির প্রধান ফারহানা হোসেন বলেন, গ্রামীণফোন একাডেমি আগামীর চ্যালেঞ্জ ও প্রযুক্তিগত বাস্তবতাকে গুরুত্ব দিয়ে এআই মিশন হাতে নিয়েছে। এই মিশনের অংশ হিসেবে গ্রামীণফোন একাডেমি ১০ হাজার তরুণ শিক্ষার্থীকে ৬ মাসব্যাপী এআই–বিষয়ক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ফলে তরুণেরা উচ্চশিক্ষা থেকে শুরু করে ফ্রিল্যান্সিং ও অন্যান্য পেশায় এআই ব্যবহার করতে পারবেন। এআই শুধু একটি প্রযুক্তি নয়, বিভিন্ন ধরনের এআই টুল তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে ও নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরি করতে সাহায্য করবে।
কর্মশালায় শিক্ষার্থীদের চ্যাটজিপিটি বা জেমিনি ব্যবহার করে জীবনবৃত্তান্ত ও কনটেন্ট তৈরির পাশাপাশি তথ্য বিশ্লেষণ ও দৈনন্দিন জটিল সমস্যা সমাধানের কৌশলও শেখানো হয়।