Advertisement

শ্রেণিকক্ষে মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করবে দক্ষিণ কোরিয়া

ডেইলি স্টার

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট, ২০২৫

দক্ষিণ কোরিয়ার শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেওয়ার জন্য শ্রেণিকক্ষে অপেক্ষা করছেন। সবার ডেস্কেই মোবাইল দেখা যাচ্ছে। ফাইল ছবি: রয়টার্স
দক্ষিণ কোরিয়ার শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেওয়ার জন্য শ্রেণিকক্ষে অপেক্ষা করছেন। সবার ডেস্কেই মোবাইল দেখা যাচ্ছে। ফাইল ছবি: রয়টার্স

দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টে নতুন একটি বিল পাস হয়েছে। এর ফলে, এখন থেকে আর শ্রেণিকক্ষে বসে কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না।

আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

এই উদ্যোগের মাধ্যমে অন্য অনেক দেশের মতো দক্ষিণ কোরিয়াও শিশুদের মধ্যে সমাজমাধ্যম ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করার প্রক্রিয়ায় যোগ দিয়েছে।

বিশ্বের সবচেয়ে ইন্টারনেটবান্ধব দেশের অন্যতম দক্ষিণ কোরিয়া। সম্প্রতি স্কুলে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারের ওপর নানান বিধিনিষেধ আরোপের উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি। শিক্ষার্থীদের মধ্যে 'স্মার্টফোনে আসক্ত' হয়ে পড়ার উদ্বেগজনক ধারা থেকে বের হয়ে আসতেই এমন ব্যবস্থা।

আগামী বছরের মার্চে বিলটি আইন হিসেবে কার্যকর হবে। এতে শ্রেণিকক্ষে মোবাইল ফোনসহ সব ধরনের স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার নিষেধ করা হয়েছে। পার্লামেন্টের মুখপাত্র এএফপিকে জানিয়েছেন, বুধবার ওই বিল পাস হয়েছে।

এর আগে অস্ট্রেলিয়া ও নেদারল্যান্ডসও একই ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে।

সিউলের শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে—বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সহায়তা, শিক্ষা সংক্রান্ত বিশেষায়িত কারণ বা অন্য কোনো শিক্ষামূলক উদ্যোগের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে।

বিরোধীদল পিপল পাওয়ার পার্টির সদস্য চো জাং-হান এই বিলটি পার্লামেন্টে উত্থাপন করেছিলেন। তিনি বলেন, 'মানবাধিকার লঙ্ঘন হতে পারে' এমন উদ্বেগের কারণে দীর্ঘদিন ধরে এ বিষয়টি অমীমাংসিত ছিল।

তবে সম্প্রতি দেশটির জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে। তারা জানায়, শিক্ষাগত কারণে মোবাইল ফোন ব্যবহারের ওপর বিধিনিষেধ আরোপে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় না। কারণ এসব ডিভাইসের কারণে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ও মানসিক সুস্থতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

তবে এই আইনের সমালোচকরা চুপ থাকছেন না।

বামপন্থি জিনবো পার্টি জানিয়েছে, এই আইন 'শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল অধিকার ও শিক্ষার অধিকার লঙ্ঘন' করছে।

এই উদ্যোগে 'কিশোর-কিশোরীরা দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত নেওয়া ও ডিজিটাল পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে' বলে দলটি এক বিবৃতিতে দাবি করে।

বিশ্বের সবচেয়ে ইন্টারনেটবান্ধব দেশের অন্যতম দক্ষিণ কোরিয়া। সম্প্রতি স্কুলে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারের ওপর নানান বিধিনিষেধ আরোপের উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি। শিক্ষার্থীদের মধ্যে 'স্মার্টফোনে আসক্ত' হয়ে পড়ার উদ্বেগজনক ধারা থেকে বের হয়ে আসতেই এমন ব্যবস্থা।

আগামী বছরের মার্চে বিলটি আইন হিসেবে কার্যকর হবে। এতে শ্রেণিকক্ষে মোবাইল ফোনসহ সব ধরনের স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার নিষেধ করা হয়েছে। পার্লামেন্টের মুখপাত্র এএফপিকে জানিয়েছেন, বুধবার ওই বিল পাস হয়েছে।

এর আগে অস্ট্রেলিয়া ও নেদারল্যান্ডসও একই ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে।

সিউলের শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে—বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সহায়তা, শিক্ষা সংক্রান্ত বিশেষায়িত কারণ বা অন্য কোনো শিক্ষামূলক উদ্যোগের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে।

বিরোধীদল পিপল পাওয়ার পার্টির সদস্য চো জাং-হান এই বিলটি পার্লামেন্টে উত্থাপন করেছিলেন। তিনি বলেন, 'মানবাধিকার লঙ্ঘন হতে পারে' এমন উদ্বেগের কারণে দীর্ঘদিন ধরে এ বিষয়টি অমীমাংসিত ছিল।

তবে সম্প্রতি দেশটির জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে। তারা জানায়, শিক্ষাগত কারণে মোবাইল ফোন ব্যবহারের ওপর বিধিনিষেধ আরোপে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় না। কারণ এসব ডিভাইসের কারণে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ও মানসিক সুস্থতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

তবে এই আইনের সমালোচকরা চুপ থাকছেন না।

বামপন্থি জিনবো পার্টি জানিয়েছে, এই আইন 'শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল অধিকার ও শিক্ষার অধিকার লঙ্ঘন' করছে।

এই উদ্যোগে 'কিশোর-কিশোরীরা দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত নেওয়া ও ডিজিটাল পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে' বলে দলটি এক বিবৃতিতে দাবি করে।

তবে সম্প্রতি দেশটির জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে। তারা জানায়, শিক্ষাগত কারণে মোবাইল ফোন ব্যবহারের ওপর বিধিনিষেধ আরোপে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় না। কারণ এসব ডিভাইসের কারণে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ও মানসিক সুস্থতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

তবে এই আইনের সমালোচকরা চুপ থাকছেন না।

বামপন্থি জিনবো পার্টি জানিয়েছে, এই আইন 'শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল অধিকার ও শিক্ষার অধিকার লঙ্ঘন' করছে।

এই উদ্যোগে 'কিশোর-কিশোরীরা দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত নেওয়া ও ডিজিটাল পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে' বলে দলটি এক বিবৃতিতে দাবি করে।

Lading . . .