বঙ্গোপসাগরে পাঁচ দিন ভেসে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন মোরশেদ (২০) নামের এক জেলে। কুয়াকাটার জেলেরা মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুয়াকাটা ২০ শয্যার হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন।

পায়রা বন্দর থেকে ২০ কিলোমিটার গভীর সাগরে বুধবার (২০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এফবি সাজেদা ট্রলারের মাঝি সোবহান ভাসমান অবস্থায় তাকে উদ্ধার করেন। এরপর এফবি বাইজিদ নামে অপর একটি মাছধরা ট্রলারের সাহায্যে তীরে পাঠানো হয়।

উদ্ধারকারী জেলেদের সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের বাঁশখালী এলাকা থেকে মাছ ধরার উদ্দেশে কয়েক দিন আগে ১৯ জন জেলেসহ একটি ট্রলার নিয়ে সাগরে বেরিয়েছেন তারা। এরপর গত পাঁচ দিন আগে সাগরে ট্রলারটি নিমজ্জিত হয়। সর্বশেষ ভাসমান অবস্থায় ওই ট্রলারের জেলে মোরশেদকে উদ্ধার করে কুয়াকাটার আলীপুর ঘাটে নিয়ে আসা হয়েছে।

এফবি বায়েজিদ ট্রলারের মাঝি সিরাজ বলেন, বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সমুদ্রের ফিশিং করা একটি ট্রলার জেলে মোরশেদকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেন। তাকে জিজ্ঞেস করলে ৫ দিন আগে ১৯ জন জেলেসহ তাদের ট্রলারটি সমুদ্রে নিমজ্জিত হয়েছে বলে জানায়। তার বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে। তিনি বেশ মুমূর্ষু থাকায় অন্য কোনো তথ্য জানা সম্ভব হয়নি।

কুয়াকাটা ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুপ্রিয় দাশ বলেন, বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে সাগরে ভাসমান অজ্ঞান অবস্থায় এক জেলেকে কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতালে এনেছেন স্থানীয় জেলেরা। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কলাপাড়া উপজেলা ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মনিরুজ্জামান বলেন, তীরে নিয়ে আসার পরপরই আমরা জেলে মোরশেদকে কুয়াকাটা হাসপাতালে পাঠিয়েছি। তিনি সুস্থ হওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।